সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

শাহজাদপুরে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সন্তোষা খেয়া ঘাট ইজারা দেওয়ার অভিযোগ

ওমর ফারুক শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের সন্তোষা খেয়া ঘাটটি কোনরকম টেন্ডার ছাড়াই নামমাত্র মুল্যে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মাত্র ১২ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েও যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও উঠেছে ইজারাদার মুকুলের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষ। মহর শেখ নামক জনৈক ব্যাক্তি কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, সন্তোষা গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে মুকুল হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা অফিসারের কার্যালয় থেকে লিখিত নির্দেশে চলতি বছরে নামমাত্র মুল্যে ১২ হাজার টাকায় উক্ত ঘাটের ইজারা দেওয়া হয় সন্তোষা গ্রামের মুকুল হোসেনকে। অথচ, ৭২ হাজার টাকায় ইজারা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলো পুর্বের ইজারাদার। তাকে না দিয়ে ১২ হাজার টাকায় মুকুল হোসেনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারা পাওয়ার পর থেকেই মুকুল হোসেন সন্তোষা ঘাট থেকে বেড়া বৃশালিখা শালিখাপাড়া ঘাটে পারাপারে যাতায়াতে জোরপুর্বক ২০ টাকা করে আদায় করছে । বছরে মাত্র ১২ হাজার টাকার ইজারা নিয়ে যেখানে জনপ্রতি ভাড়া হওয়ার কথা ২/৫ টাকা সেখানে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা যাওয়া আসা ২০ টাকা। এতে সাধারণ মানুষ ও নি¤œ আয়ের মানুষ ঘাটের নৌকায় যাতায়াত করে চরম বিপাকে পরছে। দিনে দুবার যাওয়া আসা করলে জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ সুজোগটি কাজে লাগিয়ে ইজারাদার মুকুল যাত্রীদের উপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে যাত্রীদের বেকায়দায় ফেলেছে। এ ঘাট দিয়ে ছাত্র ছাত্রী, ব্যাবসাী,চাকুরীকিবী, সাধারণ মানুষ সহ প্রতিদিন ৫শ থেকে প্রায় ১ হাজার লোকের যাতায়াত। মাত্র ১২ হাজার টাকার ঘাটে প্রতিদিন ৫/১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রতিবাদ করলে পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের পেছনে। ভয়ে অনেকেই মুখ খোলে না। প্রতি মঙ্গলবার ১০০ থেকে ২০০ গরু পার করতে হয় এ ঘাট দিয়ে। গরু প্রতি ৫০/১০০ টাকা নেওয়া হয়। ১২ হাজার টাকার ঘাটে বছরে ২০/৩০ লক্ষ টাকা আদায় করা হয় বলে বলেছেন অনেকেই। এ ঘাটে পুর্বে ভাড়া ছিলো ২ টাকা পরে বাড়িয়ে করা হয়েছিলো ৫ টাকা। সেখানে বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। যাতায়াত ২০ টাকা। মুকুলের অনৈতিক ভাড়ার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায় গ্রামবাসী। দ্রুত মুকুলের ইজারা বাতিল ও ভাড়া ২/৩ টাকা করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে, মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারনে এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছি। বাড়তি ভাড়া কেউ দেয় আবার কেউ দেয় না। এ ব্যাপারে, নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা, এব্যাপারে খোজখবর ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com