বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আল্লাহর রহমতে পূর্ববর্তী ও বর্তমান দায়িত্বশীল এবং কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে জামায়াতে ইসলামী একটি মযবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তারা দ্বীনের জন্য পাগল পারা ছিলেন। তদানীন্তন আমিরে জামায়াতসহ পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। ভাষা সৈনিক সাবেক আমিরে জামায়াতসহ তিনজন শীর্ষ নেতা কারাগারে এবং একজন শীর্ষ নেতা মজলুম অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন। শহীদ নেতৃবৃন্দের আত্মীয়-স্বজন চোখের পানি ফেলেছে কিন্তু তারা ছিলেন দৃঢ়চিত্ত, নির্ভীক, ঈমানের দিক থেকে অটল-অবিচল। তাদের মতো আমাদেরকেও ঈমানের দিক থেকে অটল-অবিচল ও শাহাদাতের তামান্না বুকে ধারণ করতে হবে। আমরা আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের জন্য মানবতার কল্যাণে কাজ করি। এজন্য মানুষ আমাদের ভালোবাসে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের তা পছন্দ হয় না। তারা জুলুম-নির্যাতন করে আমাদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু আমরা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই কাজ করে থাকি। জামায়াতের কাজকে থামানো যাবে না। আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’ গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা কর্মী সম্মেলন-২০২২ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমির মো: আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শহীদ নাজমুস সাকিবের গর্বিত বাবা ডা: জাহিদুল ইসলাম।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক শিবির সভাপতি মো: দেলাওয়ার হোসাইন, রংপুর-দিনাজপুর অ লের টিম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ডা: আব্দুর রহীম সরকার।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমির ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল আজিজ রাহিমাহুল্লাহর বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো: মোফাখ্খিরুল ইসলাম রাফি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মানুষকে শয়তানের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর দাসত্বের দিকে আহ্বান জানাই। সকলে মিলে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আল্লাহর আনুগত্য ও বন্দেগী ছাড়া কেউ আল্লাহর প্রিয় হতে পারে না। আমাদেরকে বুদ্ধিমত্তার সাথে দ্বীনি কাজ করতে হবে। দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি বা তর্ক-বিতর্ক করা যাবে না। ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের অসংখ্য ভাই শহীদ হয়েছেন, গুম হয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমাদের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না।’ মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘ইচ্ছা, কামনা-বাসনা ইসলামের অনুগত না হলে, আমরা পূর্ণ মুমিন হতে পারব না। ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে ও সে আলোকে জীবন গঠন করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আমাদের রাজনৈতিক ভূমিকা থাকবে, তবে আমাদের পরিচয় হবে দাঈ ইলাল্লাহ হিসেবে। আমাদের হতে হবে আল্লাহর দ্বীনের মুজাহিদ। কর্মী হিসেবে পাঁচটি গুণ ধারণ করে ও হক আদায় করে কাজ করতে হবে।’ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল ওয়ারেছ ও অধ্যাপক মাজেদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ ও মজলিসে শূরা সদস্যসহ উপজেলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি