কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের কৃষি খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার ইতালিতে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কিন্তু কৃষিখাত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রফতানিতে পিছিয়ে থাকলেও এ খাতে বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কোল্ড স্টোরেজ এবং ফসলোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে এসব খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক এবং লাভজনক।’ আলু, পেঁয়াজ, আম ও টমেটোর জন্য হিমাগার স্থাপন, সংগ্রহ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে অবিলম্বে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাক-সবজি সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রযুক্তি এবং কোল্ড স্টোরেজ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ফসলগুলো তোলার পরের পর্যায়ে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ‘সুতরাং, বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসুন।’
কৃষি খাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বাড়াতে ১৮-১৯ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ আয়োজন করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে, যাদের কৃষি খাতে আরো বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, ব্যাংক ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এই বিনিয়োগ উৎসাহ সম্মেলনে।