জেলায় জমে উঠেছে মাছ ধরার ফাঁদ চাইয়ের হাট। খাল-বিল ও নদী প্রধান এই জেলার অন্তত ২৫টি হাট-বাজরে বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার ফাঁদ চাই। জেলার চান্দিনা, তিতাস, মুরাদনগর, মেঘনা উপজেলার হাটসহ প্রত্যন্ত অ লেও বসেছে চাইয়ের হাট। সপ্তাহে দুইদিন করে হাট বসে। বর্ষায় পানি নামার সঙ্গে-সঙ্গে নিম্নঞ্চালে পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট-ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামা লের মাছ ধরার খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এই সময়ে জেলার সব জায়গায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে মাছ।
কুমিল্লার মাধাইয়া ও দোল্লাই নবাবপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি চাই আকার ভেদে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দোল্লাই নবাবপুর বাজারের চাই ব্যবসায়ী আনু মিয়া বাসসকে বলেন, এই মৌসুমে প্রতি হাটে ৬০-৭০ টি চাই বিক্রি করি। বহু দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে আমার কাছে এসে চাই কিনে নিয়ে যায়। বর্ষার শেষ দিকে এসে আমাদের এলাকায় চাই বিক্রি বেড়ে যায়। কারন এই সময়ে ছোট ছোট মাছগুলো পানি কমার সঙ্গে-সঙ্গে নিন্ম লে থেকে পানি নামতে শুরু করলে ওই সময় চাই গুলো জমির আইলে বিশেষ কাদায় পুঁতে রাখলে চাইয়ে মাছগুলো আটকিয়ে পড়ে।
মহিচাইল গ্রাম থেকে চাই কিনতে মাধাইয়া হাটে আসা কামরুল হাসান বাসসকে বলেন, এই মৌসুমে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি করতাম ৩ থেকে ৪ শত টাকা। আমি প্রতি মৌসুমে পানি কমার সময় ৫ থেকে ৬ চাই কিনে নিয়ে যাই। এগুলো দিয়ে যে মাছ পাওয়া যায়, তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি মাছ স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করি। দেশীয় পদ্ধতিতে এই সময়ে মাছ ধরায় মেতে উঠে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ। বিশেষ করে গ্রাম অ লে ছোট মাছ ধরার ধুম পড়ে।