লড়াই করে ৫ রানে হারলো বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ২০ ওভারে ১৮৪/৬,বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ১৪৫/৬ ,লড়াই করে মাত্র ৫ রানে হারলো বাংলাদেশ। ব্যাটিং ধসে এলোমেলো বাংলাদেশ,আর্শদীপের এক ওভারে আফিফ-সাকিবের পর হার্দিক পান্ডিয়ার একই ওভারে ফিরলেন ইয়াসির-মোসাদ্দেক। ইয়াসির ৩ বলে ১ ও মোসাদ্দেক ৩ বলে ৬ রান করেন। ৯ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৪ উইকেট।
আফিফের পর সাকিবের বিদায়: আর্শদীপ সিংয়ের একই ওভারে ফিরলেন আফিফ ও সাকিব। দুজনেই মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। আফিফ ৫ বলে ৩ ও সাকিব ১২ বলে ১৩ রান করেন।
২৫ বলে ২১ রান করে ফিরলেন শান্ত: এক পাশে যখন লিটন বিস্ফোরক ব্যাটিং করছিলেন তখন অন্য পাশে শান্ত টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। বৃষ্টির পর ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২১ রান। শামির বলে লং অনে ধরা পড়েন সুরিয়া কুমারের হাতে।
বৃষ্টির পর দ্বিতীয় বলেই রানআউট লিটন: বৃষ্টির পর দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটে খেলে দৌড় দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্তে থাকা লিটন দাস ঘাসের উপর দৌড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। মিড উইকেট থেকে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত থ্রোতে ভেঙে দেন উইকেট। মাত্র ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান।
বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৫১: বৃষ্টির কারণে ওভার কমে খেলা হবে ১৬ ওভারে। বাংলাদেশের সামনে বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য ১৫১। ৫৪ বলে প্রয়োজন ৮৫ রান। বাংলাদেশের হাতে আছে এখনো ১০ উইকেট।
বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা, ১৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ: ৭ ওভার পরে বৃষ্টি নামে অ্যাডিলেডে। লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ এখনো ১৭ রানে এগিয়ে। অর্থ্যাৎ বল মাঠে না গড়ালে লাল সবুজের দল ১৭ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে। স্থানীয় সময় ৯টা ২৮ মিনিট থেকে ওভার কমানো শুরু হবে। লিটন ২৬ বলে ৫৯ ও শান্ত ১৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন।
২১ বলে লিটনের রেকর্ড ফিফটি, পাওয়ার প্লেতে ৬০: মাত্র ২১ বলে ফিফটি করেছেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ৬ চার ও তিন ছয়ে অর্ধশতকের দেখা পান লিটন। লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু করে। ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে আসে ৬০ রান। ৩৩ ম্যাচ পর বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের বেশি করে।
বাংলাদেশের দারুণ শুরু: লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দারুণ শুরু করেছে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আর্শদীপ সিংকে তিন চারে নেন ১২ রান। এই ওভারে অবশ্য অল্পের জন্য বেঁচে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ গেলেও দীনেশ কার্তিক ধরার আগে বল মাটিতে ড্রপ করে। পরের ওভারে ভুবেনশ্বর কুমারকে ১ ছয় দুই চার হাঁকিয়ে নেন ১৬ রান। ৩ ওভারে ৩০ রান নিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ।
ভারতকে হারাতে বাংলাদেশের লাগবে ১৮৫ রান: কী দারুণ শুরু বাংলাদেশের। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১১ রান নিতে পারলো ভারত। রোহিত শর্মার (২) ক্যাচ ছাড়ার পর নিজে বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন হাসান মাহমুদ। ১১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ক্রিজে নামেন বিরাট কোহলি। বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। রাহুলের সঙ্গে তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছন্নছাড়া বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। ৩৭ বলে ৬৭ রানের জুটি ভেঙে যায় রাহুলের বিদায়ে। ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হন এই ওপেনার। সাকিব আল হাসানের কাছে তার উইকেটের পতন হলে সূর্যকুমার যাদব ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন। ১৬ বলে ৩০ রান করে তিনি সাকিবের কাছে বোল্ড হন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেছে ভারতের। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে কোহলি দলকে বড় স্কোরের পথে নিতে থাকেন। ৩৭ বলে এই আসরের তৃতীয় হাফ সে ুরির দেখা পান তিনি। ৪৪ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুই হাফ সে ুরিতে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে ভারত।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন শরিফুল। সৌম্য সরকারের বদলে একাদশে ঢোকা এই পেসার ৪ ওভারে ৫৭ রান দেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওভারেই দেন ২৪ রান। হাসান ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। দুটি পান সাকিব, ৪ ওভারে তিনি দেন ৩৩ রান। মোস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন খরুচে, দেন ৩১ রান। আগেভাগেই চার ওভারের কোটা শেষ করা তাসকিন আহমেদ দেন মাত্র ১৫ রান।
শেষ ওভারে ১৪ রান দিলেন শরিফুল: নিজের দ্বিতীয় ওভারে ২৪ রান দেওয়া শরিফুল ইসলাম করলেন শেষ ওভার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তাকে পরপর দুটি বলে ছয় ও চার মারলেন। তাতে হয়ে গেলো বাংলাদেশি বোলারের হাফ সে ুরি. ৩.৩ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ফেললেন তিনি। ওই ওভারে ১৪ রান দেন শরিফুল।
হাসানের তৃতীয় শিকার অক্ষর: তৃতীয় উইকেট তুলে নিলেন হাসান মাহমুদ। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে অক্ষর প্যাটেলকে (৭) সাকিব আল হাসানের ক্যাচ বানান তিনি।কোহলির প াশ: বিশ্বকাপের এই আসরে তৃতীয় হাফ সে ুরি করলেন বিরাট কোহলি। ১৭তম ওভারের প ম বলে দুটি রান নিয়ে ৩৭ বলে প াশের দেখা পান ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ফিফটি করার পথে ৭টি চার মারেন তিনি। পরের বলে ভারত তাদের প ম উইকেট হারায়। রান আউট হন দিনেশ কার্তিক (৭)।
হাসানের দ্বিতীয় শিকার হার্দিক: ইনিংস বড় করতে পারলেন না হার্দিক পান্ডিয়া। ১৬তম ওভারে হাসান মাহমুদের প্রথম বলে ভুল শট খেলে পয়েন্টে ইয়াসির আলী রাব্বির ক্যাচ হন তিনি। ৬ বলে করেন ৫ রান।
সূর্যকে ফেরালেন সাকিব: জ্বলে উঠেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ১৩তম ওভারে হাসান মাহমুদকে তিনটি চার মেরেছিলেন তিনি। তাকে থামালেন সাকিব আল হাসান। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে তাকে ৩০ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৬ বলে চারটি চারে এই রান করেন তিনি।
ভারতের একশ: ১২তম ওভারে জীবন পান সূর্যকুমার যাদব। সাকিব আল হাসানের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নিতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। জীবন পাওয়া বলে দুটি রান নেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ১১ রানে তাকে ফেরাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। ১২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে একশতে ভারত।
রাহুল ঝড় থামালেন সাকিব: আগের ওভারে শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ২৪ রান আদায় করে ভারত। লোকেশ রাহুল একাই নেন ১৭ রান। দশম ওভারে হাফ সে ুরি করে ফেলেন ৩১তম বলে। ৩ চার ও ৪ ছয়ে ফিফটি করার পর সাকিব আল হাসানের শিকার হন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমানকে ক্যাচ দেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে মাত্র ৩৭ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন রাহুল।
জয়াবর্ধনেকে পেছনে ফেললেন কোহলি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হলেন বিরাট কোহলি। সপ্তম ওভারে ১৬ রান শেষে তিনি পেছনে ফেললেন মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। ১০১৬ রান করে এতদিন সবার উপরে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং গ্রেট। তিনি পেছনে পড়লেন ভারতীয় তারকার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২ রান করে বিশ্বকাপে এক হাজারি ক্লাবে ঢোকেন দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হয়ে। জয়াবর্ধনেকে ছুঁতে বুধবার লাগতো ১৫ রান। সেটা তো করলেনই, পেছনেও ফেলে দিলেন।
পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের ৩৮ রান: প্রথম তিন ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভারত সুবিধা করতে পারেনি, করে মাত্র ১১ রান। তবে প্রথম উইকেট হারানোর পর থেকে আগ্রাসী তারা। পাওয়ার প্লে শেষ করেছে তারা ১ উইকেটে ৩৮ রানে।
আগ্রাসী কোহলি-রাহুল: হাসান মাহমুদের ওভারে ভারত উইকেট হারানোর পর আগ্রাসী লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। চতুর্থ ওভারে পরপর চার ও ছয় মারেন রাহুল। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ২ রান দেওয়া তাসকিন আহমেদকে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন কোহলি। ৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩০ রান।
ক্যাচ ছাড়ার পর রোহিতকে ফেরালেন হাসান: ক্যাচ ছাড়ার প্রায়শ্চিত্ত করলেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদের আগের ওভারে ক্যাচ ছেড়েছিলেন রোহিত শর্মার। চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে তাকে ইয়াসির আলী রাব্বির ক্যাচ বানালেন তিনি। ৮ বল খেলে ২ রানে ফিরলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ১১ রানে ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি। ক্রিজে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন বিরাট কোহলি।
সহজ ক্যাচ ছাড়লেন হাসান: তৃতীয় ওভারে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার সুযোগ হারালো বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের চতুর্থ বলে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো হাসান মাহমুদ সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন। ১ রানে জীবন পান ভারতের অধিনায়ক।
শরিফুলের খরুচে বোলিং: প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান করা ভারত শরিফুল ইসলামের বলে রান বের করে নিলো। বাংলাদেশের এই পেসার তার দ্বিতীয় বলে ফ্রন্ট ফুটের নো বল দেন। প ম বলে তাকে ছক্কা মারেন লোকেশ রাহুল। এই ওভারে ৯ রান তুলে নিয়েছে ভারত।
তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিং: তাসকিন আহমেদ দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে সতর্ক করে দিলেন। প্রথম ওভারে তার প ম বল থেকে রানের খাতা খোলে ভারত। লোকেশ রাহুল নেন সিঙ্গেল। এক ওভারে মাত্র ১ রান দিয়েছেন বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার।
চার পেসার নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ: ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন, সৌম্য সরকারকে বাইরে পাঠিয়ে শরিফুল ইসলামকে নেওয়া হয়েছে। তাতে করে চারজন পেসার একাদশে। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদের সঙ্গে যোগ দিলেন শরিফুল।
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ: টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-২ এ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি দুই দল। এই ম্যাচে আগে বোলিং করবে বাংলাদেশ। অ্যাডিলেড শহরের অ্যাডিলেড ওভালে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা ও বর্তমান ফর্ম- সব দিক থেকে সাকিব আল হাসানরা পিছিয়ে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের সেরা সময় কাটাচ্ছে তারা। প্রথমবার কোনও আসরের মূল পর্বে এসেছে জয়, তাও আবার একটি নয়, দুটি। নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের পারদ উঁচুতে। অন্যদিকে দারুণ ফর্মে থাকা ভারত প্রথম হার দেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। দুই দলেরই সেমিফাইনাল ভাগ্য নির্ধারণ করছে এই ম্যাচের ওপর। হেরে গেলে সর্বনাশ, জিতলে টিকে থাকবে আশা। তাই জয়ের জন্য কোমর বেঁধে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান। ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দিনেশ কার্তিক (উইকটেকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং।