সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

সামাজিকীকরণের উপাদান হোক সুস্থ বিনোদন

মিজবাহুল জান্নাত তারিন
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

আধুনিক সময়ে আকাশসংস্কৃতির কল্যাণে মানুষের চিত্তাকর্ষণের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে এখন নখদর্পণে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের সমাজের তরুণ প্রজন্মের ভালো দিক গ্রহণ করার চেয়ে বিপরীত দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্যণীয়। তাদের চিন্তা, চেতনা এবং সামাজিকীকরণ গড়ে উঠছে অসুস্থ বিনোদনের মধ্য দিয়ে। শিশু-কিশোররা অনুকরণপ্রিয়। যে বয়সে শিশু-কিশোরদের ছোটাছুটি করার কথা খোলা প্রান্তরে, সে বয়সে তাদের সঙ্গী এখন মোবাইল, টিভি ও কম্পিউটার স্ক্রিন। আমাদের মনমানসিকতায় ফেসবুক-ইউটিউবের উগ্র জীবনধারা প্রভাব ফেলে। বিনোদনের নামে সেলুলয়েড ভুবনে চলছে উঠতি বয়সিদের রুচিহীন করার ন্যক্কারজনক মহড়া। কারণ আমাদের ফ্রেন্ড, ফিলোসোফার অ্যান্ড গাইড হলো ভিজুয়াল বিনোদনমাধ্যম। দুধের বয়সি বাচ্চা যখন বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকার অনুকরণ করে ‘চুম্মা চুম্মা দে দো’ গানে নাচছে, আমরা তখন চোখ ভরে দেখে মন ভরে মজা নিচ্ছি। আর আমরা ভুলতে বসেছি ‘সাংস্কৃতিক শক্তি নির্বিচারগ্রহণে নয়, বিচার-বিবেচনাবোধের সাহায্যে তাকে পরিশ্রুত করতে হয় স্বকীয়তার মাধ্যমে’। সত্তর-আশির দশকে গুণী লেখক ও নির্মাতাদের দ্বারা সিনেমা, নাটক আর গানগুলো থেকে কিছু শিখে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করা গেলেও একুশ শতকে এসে উঁচুমানের সাহিত্য-সংস্কৃতি আর সেখানে স্থান পায় না। অতিপ্রাকৃতিক কাহিনি, অশালীন সংলাপ আর খোলামেলা পোশাকের সিনেমায় এখন কে কত রক্ত, যৌনতা, পারভার্শন এসব দেখাতে পারে, তার প্রতিযোগিতা চলে। নবাগত শ্রেণির নির্মাতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে ‘পাবলিক খায়’ ফ্যান্টাসিতে ফোকাস করে ছবির মান গাছে তুলছে। অথচ সংস্কৃতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেছেন ‘সংস্কৃতি মানে বাঁচা, সুন্দরভাবে বাঁচা’! সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আয়ের সুযোগ বাড়াতে সংস্কৃতির নামে সর্বস্তরে যৌনতা ছড়াতেও নির্মাতাদের রুচিতে বাঁধে না। মূল্যবোধের সংকটে পীড়িত মানুষের কাছে এই কুসিত সিনগুলো ‘ভালোভাবে চিত্রায়ণ’ মনে হলেও একজন রুচিস্নিগ্ধ মানুষের কাছে দৃশ্যগুলো চরম ডিস্টার্বিং এবং ডিপ্রেসিং। অতএব, বিনোদন দেওয়াই যদি মূল লক্ষ্য হয়, তবে নির্মাতার কলম হোক সৃজনশীলতার, চিত্তবিনোদন হোক সুস্থ সংস্কৃতির। লেখক : শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com