সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই উন্মুক্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি এই দিনটিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে।
তিনি বলেন, ‘আসুন ৭ নভেম্বরে শপথ গ্রহণ করি। আমরা সেই লক্ষ্যকে অর্জন না করে, এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে এবং গণতন্ত্রকে এবং আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে না এনে আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না।’
বিএনপি মহাসচিব এজন্য আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এখন এক দফা এক দাবি এই সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না ‘
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর দিনটি জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। এই দিনে সিপাহি জনতার অভুতপূর্ব সমন্বয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা হয়েছিলো। এদিনেই শহীদ জিয়াকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেই কাজটি মাত্র ৪ বছরে করতে পেরেছিলেন।’
ওই সময়ের মধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র, উন্মুক্ত অর্থনীতি, উৎপাদনের রাজনীতি, গরিবী হটাও আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং জাতিকে একটি স্বপ্ন দেখাতে পেরেছিলেন বলেন উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আবার নতুন করে গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র হরণ করে স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে,স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম চলছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন একটাই দাবি সরকারের পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন, সংসদ বিলুপ্ত করুন।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন,৭১ সালে রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থ হয়েছিলেন যখন স্বাধীনতা আনতে তখন মেজর জিয়া সফল হয়েছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, ৭৫-এও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যর্থতায় জিয়া সফল হয়ে ৭ নভেম্বরের স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন, সেই চেতনায় দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।