প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ বা জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসতে বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেগা প্রজেক্ট করা যাবে না, তবে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে কোনো আপস করা যাবে না।’ একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা যেকোনো বড় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি দেশের সর্বত্র অনাবাদি জমি চিহ্নিত করে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ উদ্ধৃতি দিয়ে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় অনাবাদি জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চলমান বিশ্ব মন্দার মধ্যে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে এবং অপচয় বন্ধ করতে বলেছেন।
একনেক সভায় মোট ৩ হাজার ৯৮১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধুমাত্র তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে গণনা করা হয়েছে)। ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৯২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৩৩২ দশমিক ২১ কোটি টাকার যোগান আসবে। আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প নেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আয়েশি-বিলাসী প্রকল্প নেওয়া যাবে না। তবে ছোট গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে আপস করা যাবে না। বড় বড় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। বড় প্রকল্প গ্রহণে ফিজিবিলিটি স্টাডি গভীরভাবে দেখতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনাবাদি জমি খুঁজে বের করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহায়তায় এসব অনাবাদি জমি খুঁজে চাষযোগ্য করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইি জমি ফেলে রাখা যাবে না। জমিতে নানা ধরনের চাষাবাদ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিসিরা যেন অনাবাদি জমি খুঁজে বের করেন।
তিনি জানান, যে কৌশলে পরিকল্পনা কমিশন এক বছর যাবৎ কাজ করছে এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুনিয়াব্যাপী মন্দা চলছে, অপচয় কমানোর পাশাপাশি মিতব্যয়ী হতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী একনেক বৈঠকে আবারও উল্লেখ করেছেন।