দেশে যখন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন চলছে তখনই সড়কগুলোতে শিশুদের হাতে চলছে যানবাহন। যে বয়সে স্কুলে থাকার কথা সে বয়সে ড্রাইভিং এর মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শিশুরা। অবাক করার মতো কথা হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো চকরিয়াতেও শিশুদের হাতেই চলছে ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা সহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন যানবাহন। কক্সবাজারের চকরিয়াতে ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা শহরে শিশুরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক নিয়ে। যে বয়সে খেলার মাঠে থাকার কথা তাদের সেই বয়সী এখন তারা হয়েছে রাস্তার রাজা। শিশুরা এসব যানবাহনের চালকের দায়িত্বে থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গ্রামীণ সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়ক এখন ইজিবাইকের দখলে। চালকরা কোন নিয়মনীতি না জেনে না মেনে শহরের মধ্যে চালাচ্ছে এসব ইজিবাইক। যেখানে সেখানে তাদের বাইক থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করাচ্ছেন। চলাচলরত অসংখ্য ইজিবাইকের কারনে শহরের মধ্যে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজটের। এছাড়া চালকদের মধ্যে অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হওয়ায় হরহামেশায় ঘটছে দূর্ঘটনা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা ইজিবাইক চালাচ্ছে তাদের মধ্যে ১২-১৩ বছরের কম বয়সের কিশোরেরাও রয়েছে। এখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইজিবাইক সড়কে নামানো হচ্ছে। আর এসব ইজিবাইক দিয়ে তারা যাত্রী নিয়ে মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রী বহন করেছে। এই সব ইজিবাইক চালকদের মধ্যে কেউ কেউ মাঠের কৃষি শ্রমিক অথবা আগে রিকশা/ভ্যান চালাতেন। আবার কেউ কেউ বয়সে কিশোর। এদের শত করা ৮০ জন চালকেই জানে না কীভাবে রাস্তায় ইজিবাইক চালাতে হয়। তারপরও তারা নিয়মিত মহাসড়ক ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের সড়কে ৮ জন করে যাত্রী নিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে। একজন ইজিবাইক চালক জানান, তিনি ৪ বছর ধরে ইজিবাইক চালিয়ে ৫ সদস্যের সংসারের জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে হারে প্রতিদিন নতুন নতুন ইজিবাইক রাস্তায় নামছে তাতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তার অভিযোগ নতুন ইজিবাইক চালকেরা আইন কানুন মানে না। কে কত টাকা আয় করবে তারা সেই প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর মুঠোফোনে ফোন করার পরও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, শিশু কর্তৃক যানবাহন চালানোর বিষয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসন মিলেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে থানা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের সাথে দ্রুত আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।