মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মোর সংসার চলেনা চিকিৎসা করমো কেমনে, কান্না কণ্ঠে হতদরিদ্র পিতামাতা

আমিনুর রহমান গাইবান্ধা :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২

মোছাঃ মাইসা আকতার। বয়স ২ বছর ৬ মাস। বাপ মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আগমনের পর আনন্দে দিন অতিবাহিত করছিল মাইসার দিন মজুর পিতামাতা। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস? সাত মাস বয়সে দেখা দেয় বিভিন্ন অসুখ। পেট অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়া হয়। এতে আরোগ্য না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলে কিডনী, ফুসফুসের সমস্যা। এই সমস্যার কারণে দুচোখে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। যা দিন মজুর পিতা মাতার পক্ষে চোখের পানি ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়। তাই আপনার একটু সহযোগিতায় বাঁচতে পারে মাইসার নিঃস্পাপ প্রাণ। সরেজমিনে জানা যায়- গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী গ্রামের মোঃ মশিউর রহমান ও মোছাঃ মোর্শেদা বেগমের কন্যা মাইসা আকতার। সন্তানের দুঃচিন্তায় নির্ঘুম দিনমজুর পিতামাতা। স্থানীয়রা জানান-চিকনী গ্রামের বাসিন্দা মশিউর। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনমতো জীবিকা নির্বাহ তার। দাম্পত্য জীবনে একমাত্র কন্যা মাইসা। এই শিশুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। শৈশবের আনন্দে বেড়ে ওঠা মাইসার বয়স যখন সাত মাস, তখন হঠাৎ করে পেটের সমস্যা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পেট অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে ও চোখের সমস্যা হয়। সন্তানকে সুস্থ করতে বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়। এতে ব্যয় হয়ে লক্ষাধিক টাকা। নিজের গরু-ছাগল বিক্রি করাসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ঋণ নিয়ে চিকিৎসা চালানো হয়। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তয় তলা ১০ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুচিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে অসুস্থ শিশুর পিতা মশিউর কান্নাজড়িতে কন্ঠে বলেন-যা কামাই করি তা দিয়ে সংসার চলেনা। খেয়ে নাখেয়ে জীবন পার করছি। মেয়ের চিকিৎসা করি কেমনে? অভাব-অনটনের সংসার। দিন এনে দিন খাওয়া। এতে আবার মেয়ের কঠিন অসুখ।দায়দেনা করে ভরেগেছে। এখন কি করম ভেবে পাচ্ছি না কথা গুলো বলেই হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসুস্থ মাইসার মা। তিনি আরও বলেন, আমার একমাত্র অবুঝ মেয়ের দিকে তাকালে চোখের পানি আটকাতে পারি না। এখন মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। ডাক্তার বলেছে ৫ লাখ টাকা লাগবে। সবাই যদি মানবিক সহায়তা করতেন, তাহলে হয়তো সন্তানকে সুস্থতা করা সম্ভব। সহযোগিতা করতে বিকাশঃ ০১৭২২-৩৭৭২৫৩ নম্বরে আবেদন জানান অসহায় পরিবার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com