রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। তিনি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ‘মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তাঁর (ভাসানীর) রাজনীতি ছিল গ্রামভিত্তিক ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে। তিনি রাজনীতি করেছেন সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণের পক্ষে।
আবদুল হামিদ বলেন, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ’৫২-র ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর (ভাসানীর) অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন। আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, মওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।