কুড়িগ্রামে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণ কাজে মুল ঠিকাদারের কাছ থেকে সাব ঠিকাদারী নিয়ে ১ কোটি ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকার মালামাল আত্মসাত ও জীবননাশের হুমকীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে ভুক্তভোগী ঠিকাদার মো. গোলাম সারোয়ার জাহান এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পলস্নী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী মাসুদ রানা, লাইন নির্মাণ পরিদর্শক রেজাউল হকসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভুক্তভোগী ঠিকাদার মো. গোলাম সারোয়ার জাহান জানান, আমি টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ‘মা-মণি প্রকৌশল’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলায় প্যাকেজ টেন্ডারের মাধ্যমে ৩৩কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণের কাজ পাই। যা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ জোতগবর্ধন গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান লিটনকে সাব ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ করি। উক্ত সাব ঠিকাদার আসাদুজ্জামান লিটন প্রতারণার মাদ্যমে পবিস’র স্টোর থেকে ৩৩ দশমিক ৩৮৫ কি.মি বৈদ্যুতিক লাইনের মালামাল উত্তোলন করে মাত্র ১৮ দশমিক ৫৫ কি.মিটারের কাজ সম্পাদন করে বাকী কাজের মালামাল আত্মসাৎ করেন। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকা। উক্ত মালামাল সময়মতো ফেরৎ প্রদান না করায় কুড়িগ্রাম পবিস জরিমানা হিসেবে আমাকে ২ কোটি ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে মর্মে পত্র প্রদান করেছে। বিষয়টি নিয়ে সুধীজনসহ প্রায় ১৫দফা আসাদুজ্জামান লিটনের সাথে আপোষ মীমাংসা করেও কোন সুরাহা হয়নি। শেষে ব্যর্থ হয়ে কোন উপায় না পেয়ে গত ১৫ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সদর থানায় পেনাল কোডে মামলা করি। এতে আসাদুজ্জামান লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকী দিচ্ছে, আমি টাঙ্গাইল থেকে কুড়িগ্রামে আসলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে। আমি সাংবাদিক সমাজসহ সকলের কাছে সুবিচার চাই। এ ব্যাপারে সাব ঠিকাদার আসাদুজ্জামানের ব্যবহ্নত দুটি মোবাইল নম্বরে (০১৭৯৩-৮১৬-১৯১; ০১৮৬২-২৯৯-৩৩০) একাধিকবার ফোন করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।