শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষে তারা মতবিনিময় করেন। এ সময় জাপানের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এ ছাড়া অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরে জাপানি ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইতো নাওকি বলেন, দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্ত প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করবে জাপান।
তিনি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ) স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড এলাকার একাধিক বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরেন। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার আদলে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে তার সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।