শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

আরবে প্রাক-ইসলামী দরবারে গায়ক-গায়িকারা

অলাত এহ্সান
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

মধ্যযুগে ইসলামিক প-িতদের যে জ্ঞানতাত্ত্বিক উত্থান বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তার প্রায় সবই অষ্টম থেকে ত্রয়োবিংশ শতাব্দীর কথা। ইসলামিক বলতে এখনো যেভাবে আমাদের মাথায় আরব বিশ্বের কথা আসে, তাদের সবাই কিন্তু প্রাচ্যের আরবের মানুষ ছিলেন না, ভাবতে হবে তুর্কি, পারস্য, মিসর মিলিয়ে। এদের মধ্যে গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় অবদান রাখা আল কিন্দী, আল ফারাবি, আল বায়যানি, ইবনে সিনা, ওমর খৈয়াম, কিংবা দার্শনিক ঈমাম গাজ্জালি ও ইবনে রুশদের নাম আমাদের জানা আছে। সেসব ক্ষেত্রে তাদের অবদান আজও সবার মনে আছে। কিন্তু লক্ষণীয় ব্যাপার হলো সচরাচর তাদের সংগীতজ্ঞ বলে কেউ চেনে না অথচ সংগীত নিয়ে তাদের সবার বই আছে! সেই সময়ে সংগীত একই সঙ্গে তর্ক ও স্বীকৃতির জন্ম দিয়েছিল। ইসলামিক প-িতদেরও এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।
ষষ্ঠ শতকে বাইজেন্টীয় সাম্রাজ্য ছাড়া সর্বত্র খ্রিস্টীয় সমাজ ইহুদিদের তুলনায় ছিল বিত্তহীন, সুতরাং অনভিজাত। বিত্ত তথা আভিজাত্যের কারণেই ট্রাইবাল আরব সমাজমানসে তাদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই পরস্পরবিরোধিতা ছিল: ঈর্ষাজনিত দ্বন্দ্ব একদিকে, আবার অন্যদিকে তাদের সংস্কৃতিকে অনুসরণের প্রয়াস। এ প্রভাব ও দ্বন্দ্ব ইসলাম ধর্মেও শুরু থেকে বিচার্য।
প্রাক-ইসলামী আরব সমাজে তথা ইহুদিদের মধ্যে সংগীতের প্রভাব ছিল। প্রাক-আরবে সে যুগে নারীরাই মূলত সংগীতের চর্চা করতেন। বরং সেখানে পুরুষদের অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে রহিত করা হতো।
প্রাক-ইসলামী সময়ে ঘনীভূত হতে থাকা বাণিজ্য খলিফাদের সময়ে বিকশিত হলো, কিংবা বাগদাদ নগরীর পত্তনের পর চূড়ান্ত বিস্তার হয়েছিল। বিশেষ করে ভারত, গ্রিস, পারস্যের সঙ্গে যে বাণিজ্য স্থাপন হয়েছিল, তার জন্যও নগরে বিনোদনের দরকার হয়ে পড়ে ছিল। এজন্যও বাদ্য ও সংগীতশিল্পীদের একটা ব্যবসায়িক, ধনিক ও রাজ্যপ্রধানের পৃষ্ঠপোষকতা পেতেন, তা অস্বীকার করা যায় না। ভারত, পারস্য, গ্রিসের তুলনায় গোত্রনির্ভর আরবে তা ভিন্ন ছিল না।
প্রাচীন নিকট প্রাচ্য ও মিসরে পেশাদার সংগীতশিল্পীদের ইতিহাসে খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার অব্দেও নারীদের নেত্বত্বের কথা জানা যায়। কিছু বাদ্যযন্ত্র প্রায় নারীদের উপযোগী করেই তৈরি করা হতো। ছোট্ট ঢোলক, খঞ্জনী, বাঁশি ও নোয়ানে তারের বাদ্যযন্ত্রে সজ্জিত নারীরা শোকস্তবক ও বিলাপ ধরনের সংগীতের জন্য সমাদৃত হতেন। মিসর, সুমেরু ও অ্যাসিরিয়ার অঞ্চলের অজস্র প্রাচীন লিপিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। খোদ বাইবেলেও তার স্বীকৃতি মেলে।
শুধু বাইরে থেকে প্রভাবিত হওয়া নয়, আরবের ভেতরেও সংগীতচর্চার পৃষ্ঠপোষকতার ইতিহাস আছে। এর মধ্যে নারী শিল্পীদের ‘কিয়ান’, ক্রস-জেন্ডারের পুরুষ গায়কের ‘মুখান্নাথুন’ কিংবা যেকোনো লিঙ্গের শোকসংগীত শিল্পী ও রচয়িতা পৃষ্ঠপোষকতা পেতেন। প্রাক-আরব যুগের এ ঐহিত্যবাহী সংগীতচর্চা নবম শতকে বাগদাদ দরবারে চূড়ান্ত বিকশিত হয়। সংগীতসংশ্লিষ্ট বিষয় প্রথমে গায়কের সংগীতের দক্ষতা ও ছন্দ জ্ঞান এবং দ্বিতীয়ত, বাদ্যযন্ত্র বাজানোর ওপর নির্ভর করত। কিন্তু নবম-দশম শতকে বাগদাদ দরবারে এর সঙ্গে শিল্পীর উপস্থাপনাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। সেই সময় শিল্পীর পোশাক-পরিচ্ছদ, ব্যবহার, রাজনৈতিক, খাদ্য ও মদগ্রহণের সক্ষমতাকে বিবেচনার আনা হতো। লিঙ্গভেদে এর বৈচিত্র্য তো ছিল। সব মিলিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কৌশল-দক্ষতা, অসাধারণ মেধা আর দর্শকের চাহিদা বুঝতে পারাকে গুরুত্ব দেয়া হতো। অর্থাৎ শিল্পী ও উপস্থাপন প্রায় সমান্তরালে দাঁড়িয়ে যায়। এই সময় আরবের সংগীতে কিয়ান (নারী শিল্পী), জাওয়ারি (নারীদাস বা উপপতœী), মুখান্নাথুন (মেয়েলি), মুজিকার (পুরুষ বাদ্যশিল্পী) ও মুগান্নি (গায়ক) পরিভাষাগুলো তৈরি হয়।
সবাই না হলেও খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকে শুরু প্রাক-ইসলামী যুগ পর্যন্ত অধিকাংশ নারী বাদ্যশিল্পীরা ছিলেন দাসী ও উপপতœী ধরনের। ফলে সেই সময়ের যন্ত্রশিল্পীরা অনেকটা জৈব পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য বা কূটনৈতিক উপহার হিসেবে ব্যবহার হতেন। ফলে উপস্থাপনের জন্য কখনো বাদ্যশিল্পী পুরস্কৃত হওয়া মানে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া ছাড়া কিছুই ছিল না। তবে দাসির বাইরে নারীদের যন্ত্রসংগীতে পারদর্শী হয়ে ওঠা ও আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয়টি সামাজিক মর্যাদা ও পদের ওপর নির্ভর করত। আরব, মিসর, মেসোপটেমিয়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারী, বিশেষ করে রাজকন্যার সংগীতপটীয়সী হয়ে ওঠা বিরাট সম্মানের ব্যাপার ছিল। তারা এসব করতেনও বিশেষ যন্ত্রে দেবতাদের উদ্দেশে কিংবা বিশেষভাবে তৈরি স্তবে।
উর তৃতীয় সুমের সময় মন্দিরে মুক্ত নারীরাও থাকতেন, এই বাসকে মঠ বা নির্জনবাস হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়। তাদের অনেকের সামাজিক মর্যাদা, শেষ বয়সের দেখাশোনার জন্য দাসী পোষার মতো অর্থকড়িও ছিল, তবে মঠে তাদের বিশেষ কোনো কাজ থাকত না। প্রাচীন নথি নির্দেশ করে, তারা সেখানে মন্দিরে আমলাতান্ত্রিক কাজ করতেন, নয়তো আচার অনুযায়ী দেবীকে বিয়ের ব্রত পালন করতেন।
নবম শতাব্দীর আগ পর্যন্ত প্রাক-ইসলামিক আরব ও মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে সংগীতাঙ্গন প্রাথমিকভাবে নারী দিয়ে ভর্তি ছিল। পুরুষদের সামাজিকভাবে প্রায় নিষেধই করা হতো বাদ্যশিল্পী হতে। যদিও নারী পোশাক ও তাদের বাদ্য বাজানোর শর্তে কিছু পরিবর্তী লিঙ্গের পুরুষ সেই সুযোগ পেতেন।
ব্যাপারটা হলো, বাদ্যশিল্পীদের মধ্যের নারীদের বাইরে পুরুষদের দেখাই যেত না, কিন্তু স্বভাবে নারী-পুরুষ উভয় থাকা পুরুষরা দরবার ও মন্দিরে সংগীত প্রদর্শনের সুযোগ পেতেন। কথাটা খানিকটা খটকাই লাগে। এটাকে বোঝা যায় প্রাচীন নিকট প্রাচ্যে সেই সময়ের শব্দবন্ধের ভেতর। সে সময় লিঙ্গ বলতে জৈবিক অবস্থার চেয়ে আরো বিস্তৃত বিষয়কে বোঝাত। মানে, পোশাক ও আচরণের কারণেও ভিন্ন লিঙ্গ ধরা হতো। এমনকি অন্ধ, খোঁড়া, শারীরিক নানা অক্ষমতাও লিঙ্গ বিচারে বিবেচ্য ছিল। যেমন সুমের-এর সময় তিনটি, কখনো চারটি লিঙ্গ ধরা হতো, আলাদাভাবে তারা বাদ্যশিল্পী, চিত্রশিল্পী বা পুরোহিত। আধুনিক লিঙ্গ ধারণাই যে জৈবিকভাবে সেই সব শিল্পীদের লিঙ্গ নির্ধারণ কঠিন করে তুলেছে, তা নয়; বরং সুমেরিয়ান ভাষায় লিঙ্গের শ্রেণীবিন্যাসেরই ঘাটতি ছিল।
সেই হিসাবে, ব্যতিক্রম সত্ত্বেও তৃতীয় লিঙ্গ বলতে পুরুষদের বোঝানো হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ যে নপুংসক ছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদের অনেকেই উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সন্তান বা প্রতিপালিত সন্তানদের বিয়ে করতেন। প্রাচীন নথিতে তাদের বর্ণনা করা হয়েছে, তারা জৈবিক ও আধ্যাত্মিক জগতের সমন্বয়কারী হিসেবে। সুমেরিয়ান অধিকাংশ প্রাচীন নথিতে তৃতীয় লিঙ্গের বাদ্যশিল্পীদের ‘গালা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা নারী গোত্রীয় বিলাপে দক্ষ এবং নারী ভাষা ‘ইমেসাল’ শব্দে কথা বলেন। নারীদের মতো পোশাক পরেন, চুল বাঁধেন এবং তাদের বাদ্যযন্ত্রই বাজান।
নিকটা প্রাচ্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী, নগর ও সম্ভ্রান্ত আরবেরা ‘গান গাওয়া মেয়ে’ ও উপপতœী রাখতেন। প্রাক-ইসলামিক আরবে গান গাওয়া মেয়ে ছিল সবচেয়ে লক্ষণীয় সংগীত উদযাপন। ‘গান গাওয়া মেয়ে’ বলতে দাসী বা মুক্ত গোত্রে জন্ম নেয়া নারীদের বোঝাত। ইতিহাসবিদরা প্রমাণ করেছেন, ব্যক্তিগত আমোদ দেয়ার মাধ্যমে মেয়েরা বেশি অর্থ উপার্জন করতেন।
প্রথম দিকের কবিতায় ‘গান গাওয়া মেয়েরা’ চোখ, চুল, পোশাক দিয়ে সংগীত ও যৌনানন্দ দিতেন বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।
সপ্তম শতক পর্যন্ত আরব পুরুষদের পেশাগতভাবে সংগীতচর্চায় নিরুৎসাহিত করা হতো। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এ নিষেধ বেশ কড়াকড়ি ছিল। তার মানে এই নয় যে, কোনো পুরুষ একে পেশা হিসেবে নেয়নি। তবে তা হতো শর্ত মেনে। মানে, নারীর পোশাক পরা, তাদের আচার-রীতি অনুসরণ ও বাদ্য বাজাতে হতো।
বিশেষ নবম শতকে ইসলামিক সাম্রাজ্য যখন উত্তর আফ্রিকা, পারস্য, আনাতোলিয়া ও ইউরোপের কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ল, তখন স্বাভাবিকভাবেই পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিয়ে সম্পদ আনার মতো দরবারি সংস্কৃতিও গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ল। ৬৬১ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত উমাইয়াদের শাসনের পর যখন আব্বাসীদের শাসনের পত্তন হলো তখন এর বিস্তার আরো বেড়ে গিয়েছিল। উমাইয়াদের দামাস্কাসের রাজধানী ছেড়ে আব্বাসীদের বাগদাদ নগরীর পত্তনও তার ফল। বলা যেতে পারে, বাগদাদ কেন্দ্র হিসেবে সংস্কৃতির চেয়ে জ্ঞানতাত্ত্বিক বিকাশ বেশি হয়েছে। এ সময়ই গ্রিসের সাহিত্য ও দর্শনের বইগুলো আরবি ও সিরীয় ভাষায় বেশি অনূদিত হয়।
তখনকার গণিকারা সংগীত পরিবেশক ও শিল্প পটীয়সী ছিলেন। এদের পাণিপ্রার্থী ও পৃষ্ঠপোষকরা সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোক ছিলেন। এরা একই সঙ্গে অর্থশালী ও ক্ষমতাশালী ছিলেন। কিন্তু ক্রমেই পবিত্রতা বনাম জাগতিক সংগীতচর্চার তর্ক সংগীতের আবেগে আঘাত করে। বিশেষ করে সংগীতের সঙ্গে জুয়া, মদপানসহ স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জড়িয়ে থাকায় এ আঘাত বড় হয়ে ওঠে। পৃষ্ঠপোষকতা বলে গড়ে ওঠা গণিকা শ্রেণীর পক্ষে যুক্তি ও সমর্থন তখন নীতির ওপর শিল্পীর জয় এনে দেয়।
পেশাদার নারী সংগীতশিল্পী, বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার মতো বাদ্যযন্ত্রের দক্ষতার ওপর নানা ডিগ্রি, যৌনতা বা আমোদ মূলত নগর সংস্কৃতির অংশ। বাণিজ্য ও রাজ্য জয়ের উপহার হিসেবে স্বীকৃত গান গাওয়া মেয়েদের রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। তা ছাড়া এই মেয়েদের বাছাই করা হতো শারীরিক সৌন্দর্য ও অঞ্চলভেদে। ফলে এরা অনেকের কাছে বিদেশিনী হিসেবেই মর্যাদা পেতেন। সেই সুবাদে তাদের বাহারি নামও জুটে যেত। আজকের দিনেও যেমন বাহারি নামের গণিকাদের কথা শোনা যায়।
আরবে প্রাক-ইসলামী দরবারে গান গাওয়া মেয়েরা একক ও সম্মিলিত সংগীত পরিবেশন করতেন। সাংগীতিক এই আয়োজনকে বলা হতো ‘মজালিস’ আর একক আয়োজনকে বলত ‘মলিস’। ‘মজালিস’ আয়োজনের ক্ষেত্রে সংগীত পরিবেশকদের পোশাক, দক্ষতা, শিষ্টাচারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে কড়া বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে ‘একক সংগীত’ আয়োজন হতো শাসকের ইচ্ছেমতো। শাসকের ইচ্ছে ও মনোভাব অনুযায়ী সংগীত, কবিতা, বাদ্য বাজাতে হতো শিল্পীকে। যদি তিনি খলিফাকে খুশি করতে পারেন, তাহলে উপঢৌকন মিলত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ব্যর্থ হলে প্রকাশ্যে মারধর বা বেত্রাঘাতেরও নজির আছে।
এসব দিয়ে বোঝায়, সেই সময় দরবারে সংগীত কতটা দক্ষতা অর্জন করেছিল। শেষ পর্যন্ত সব আয়োজনই দর্শক-শ্রোতার মনের অবস্থা, চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশন হতো। আধুনিক সংগীত-তত্ত্ব বলে যে মধ্যযুগে আরবে দরবারে সংগীত শুরুতে পারস্য, মেসোপটেমিয়া, পরে গ্রিক সংগীত-তত্ত্বের সংস্পর্শে সবচেয়ে বিকশিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
1. Music and Musicians in the Medieval Islamicate World : A Social History, by Lisa Nielson, Bloomsbury Publishing, 2021.
2. Gender and the Politics of Music in the Early Islamic Courts, by Lisa Nielson, an article in Cambridge : Early Music History, Volume 31, January 2012, page 235 to 261.
3. মুসলিম চিত্রকলার আদিপর্ব ও অন্যান্য, সৈয়ত মুস্তাফা সিরাজ, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ, ১৪০০।  অলাত এহ্সান: গল্পকার, সাহিত্য সমালোচক




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com