বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে এখন চলছে মনোনয়নপত্র বিতরণের পালা। গতকাল সোমবার শেষদিন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত তোলা যাবে মনোনয়নপত্র। তবে, সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন আবারও নির্বাচিত হচ্ছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়- এমন সম্ভাবনার কারণে পর্যন্ত বাফুফে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো উত্তাপ ছিল না। কিন্তু মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন গতকাল সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই চমক দেখালেন সাবেক ফুটবলার এবং জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। কোনো প্যানেল থেকে, নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মানিক সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন, সেটা আপাতত জানা যায়নি। তবে, মনোনয়নপত্র তোলার আগ পর্যন্ত কোথাও মানিকের নাম শোনা যায়নি, সভাপতি পদে নির্বাচন করা তো দুরের কথা।
হঠাৎ করেই গতকাল সোমবার দুপুরে বাফুফে ভবনে এসে সভাপতি পদে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন সাবেক এই ফুটবলার এবং কোচ। মানিকের মনোনয়নপত্র কেনার পরই সরগরম হয়ে উঠেছে বাফুফে ভবন। কারণ, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা মানেই বাফুফে নির্বাচন জমে ওঠার বড় একটা সম্ভাবনা। বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কথা ছিল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিনের। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে সভাপতি পদে নির্বাচন করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। তরফদার রুহুল আমিনের সরে যাওয়ার কারণে, চতুর্থবারেরমত বাফুফে সভাপতি হওয়ার পথে কাজী সালাউদ্দিনের সামনে আর কোনো বাধা ছিল না। মনোনয়ন পত্র বিতরণের শুরু থেকেই তাই নিরুত্তাপ বাফুফে ভবন। সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচন না হলে উত্তাপ থাকারই কথা নয়। কিন্তু হঠাৎ করে, শফিকুল ইসলাম মানিক সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করায় উত্তাপ বেড়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলে নিশ্চিত বাফুফে নির্বাচন জমে উঠবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।