২২ নভেম্বর মঙ্গলবার দিনাজপুরের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রীর আয়োজনে টেরেডেস হোমস, ব্রাক জেমসপি, গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ব্রাক বিশ^ বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নেদারল্যান্ড মিনিস্টারী অব ফরেন এ্যাফেয়ার্স আন্ডার নাফিস ওরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রামের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনী, বিবাহিত কিশোরী, বিবাহিত কিশোরীদের স্বামী, শ^শুর-শ^াশুরী ও চেঞ্জ মেকারদের ঘটে যাওয়া জীবনের ঘনিষ্ঠ গল্প, স্বপ্ন ও সফলতাগুলো গল্প বলা ও ছবি আকার একটি ব্যতিক্রম ধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পল্লীশ্রী’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শামসুন নাহার এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পল্লীশ্রী’র ট্রেইনার সাজেদুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর রোজিনা ইয়াসমিন লাকী, জেলা কালরাচাল অফিসার মিন আরা পারভিন ডালিয়া, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী বাগচী ও পঃপঃ অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রেজাউল ইসলাম। শুভেচ্চা বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের কনসালটেন্ট ফয়েজ উদ্দীন আহম্মেদ, সাংবাদিক আনিসুল হক জুয়েল ও স্বাস্থ্য বিভাগের মোঃ জুলফিকার আলী, যারা নিজের জীবন থেকে আঁকা ছবি ও জীবনের গল্প বলেন চেঞ্জ মেকার সোনিয়া আক্তার, বিশ^জিৎ রায়, নুর আক্তার, রশিদা আক্তার, বিবাহিত কিশোরী আরফিনা আক্তার, রিমু আক্তার, সুর্বণা আক্তার কিশোরী সদস্য রাইসা, বিবাহিত কিশোরীর স্বামী উজ্জ্বল, শ^াশুরী স্বরস্বতী বালা, শ^শুর মকশেদ আলী ও শ^াশুড়ী সালেহা বেগম বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়, সামাজিক অবক্ষয় দূর করতে তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা আজ সফলতা অর্জন করেছে। তারই গল্প ও ছবি আকাঁর মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। তারা পল্লীশ্রী’র মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়ের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। আর কোনো নারী এ ধরনের অন্ধকারে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য তারা আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করে প্রকল্পের ট্রেইনার রওনক আরা হক নিপা।