জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব ও লক্ষী পুজার মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ ছোট যমুনার মহনায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মালিদহ কদমতলী লক্ষী মন্দির কমিটির আয়োজনে মেলায় সকাল থেকে ছোট বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী, কসমেটিকস, মনোহারী, বাঁশ বেতের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসে। বিকেলে সনাতনধর্মাল্বীর লোকজন সহ অন্যান্য জাতি ধর্মের নারী পুরুষের মিলন মেলায় জমে উঠে মেলার মূল আর্কষন লক্ষী পুজার মেলা। স্থানীয়রা জানায়, শতবছর পূর্ব থেকে এই মেলা বংশানুক্রম ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর এলাকার তৎকালীন জমিদার ভবেশ চন্দ্র মহন্ত এ মেলার আয়োজন করতেন। তখন মাসব্যাপী ধরে এ মেলার আয়োজন চলত। সনাতন ধর্মের লোকদের বসবাস থাকায় মেলায় থাকত বিভিন্ন ধরনের আয়োজন। কিন্তুু কালের বির্বতনে এখন সনাতন ধর্মের লোকদের বসবাস কমে যাওয়ায় স্থানীয়রা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের প্রথম রোববার মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিটি বাড়ীতে চলে নবান্ন উৎসব। উপলক্ষ্যে এলাকায় বসবাসরত সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়ীতে জামাই মেয়েদের নিমন্ত্রন করে বাড়ী এনে চলে নবান্ন উৎসব। আর সোমবার লক্ষী পূজার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এ মেলার। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বলেন, প্রতিবছর এখানে মেলা বসে। মেলায় এসে বিভিন্ন ধরনের খাবার জিনিসসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পাওয়া যায়। তাতে অনেক আনন্দ হয়। মেলা কমিটির সভাপতি শ্রী নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, আগে এখানে এক মাস ধরে মেলার আয়োজন থাকত। এখন আর সেটি হয় না। তবুও বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের প্রথম রোববার নবান্ন উৎসব ও পরের দিন সোমবার লক্ষী পূজার আয়োজন করে থাকি। আয়মারসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামূনুর রশিদ মিল্টন বলেন, কদমতলী মালিদহ লক্ষী পুজার মেলাটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। যা প্রায় ১শ বছর আগে থেকে এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই মেলাটি সেই শতবছরের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে আগামীতে এই ধারা অব্যাহত রাখুক। আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মেলা আয়োজনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।