সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

পাঁচবিবিতে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব ও লক্ষী পুজার মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ ছোট যমুনার মহনায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মালিদহ কদমতলী লক্ষী মন্দির কমিটির আয়োজনে মেলায় সকাল থেকে ছোট বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী, কসমেটিকস, মনোহারী, বাঁশ বেতের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসে। বিকেলে সনাতনধর্মাল্বীর লোকজন সহ অন্যান্য জাতি ধর্মের নারী পুরুষের মিলন মেলায় জমে উঠে মেলার মূল আর্কষন লক্ষী পুজার মেলা। স্থানীয়রা জানায়, শতবছর পূর্ব থেকে এই মেলা বংশানুক্রম ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর এলাকার তৎকালীন জমিদার ভবেশ চন্দ্র মহন্ত এ মেলার আয়োজন করতেন। তখন মাসব্যাপী ধরে এ মেলার আয়োজন চলত। সনাতন ধর্মের লোকদের বসবাস থাকায় মেলায় থাকত বিভিন্ন ধরনের আয়োজন। কিন্তুু কালের বির্বতনে এখন সনাতন ধর্মের লোকদের বসবাস কমে যাওয়ায় স্থানীয়রা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের প্রথম রোববার মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিটি বাড়ীতে চলে নবান্ন উৎসব। উপলক্ষ্যে এলাকায় বসবাসরত সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়ীতে জামাই মেয়েদের নিমন্ত্রন করে বাড়ী এনে চলে নবান্ন উৎসব। আর সোমবার লক্ষী পূজার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এ মেলার। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বলেন, প্রতিবছর এখানে মেলা বসে। মেলায় এসে বিভিন্ন ধরনের খাবার জিনিসসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পাওয়া যায়। তাতে অনেক আনন্দ হয়। মেলা কমিটির সভাপতি শ্রী নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, আগে এখানে এক মাস ধরে মেলার আয়োজন থাকত। এখন আর সেটি হয় না। তবুও বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর অগ্রাহায়ন মাসের প্রথম রোববার নবান্ন উৎসব ও পরের দিন সোমবার লক্ষী পূজার আয়োজন করে থাকি। আয়মারসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামূনুর রশিদ মিল্টন বলেন, কদমতলী মালিদহ লক্ষী পুজার মেলাটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। যা প্রায় ১শ বছর আগে থেকে এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই মেলাটি সেই শতবছরের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে আগামীতে এই ধারা অব্যাহত রাখুক। আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মেলা আয়োজনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com