প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে ব্যবসার নামে মানুষের সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি প্রতারক চক্র ইটভাটার ব্যবসার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০,কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ও ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, এপেক্স ব্রিকস ও সনি ব্রিকস ইটভাটা দুটিতে শ্রমিক, হেলপার ,মিস্ত্রি ও স্টাপ বলতে কেউ নেই। এলাকাবাসী জানিয়েছে স্থানীয় একটি মহলের সহযোগীতায় গত বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় সুকৌশলে তারা সবাই পালিয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁউ গ্রামের আবু তাহের এর সনি ব্রিকস ও রামপুর বাজারের পাশে মোঃ খায়রুল ইসলামের এপেক্স ব্রিকস দুটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসার নামে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মালিক মোঃ সাদেক হোসেন, ম্যানেজার আলিফ মিয়া ,ম্যানেজার কাইয়ুম এরা তিন জন গত দুই বছর ধরে সিংহেরগাউঁ গ্রামের স্বর্না বিক্স ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার আরো দুটি ইটভাটা চড়া দামে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার অযুহাত দেখিয়ে এলাকার ইট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের বসত ঘরের জন্য আগাম টাকা দিয়ে ইট ক্রয় করে। চক্রটি ইট বিক্রি করার জন্য স্থানীয় একটি মহলের সহযোগীতায় যেই আসে তার কাছে ইটবিক্রি করার আশ^াস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
সস্তা দামে ইট বিক্রি হচ্ছে শুনে যার প্রয়োজন নেই সেও টাকা নিয়ে এসেছিল কিনার জন্য। এলাকার একটি কুচক্র মহলের কারণে সবাই এদের কাছে প্রতারিত হয়ে এখন পাগলের মত ঘুরছে। কেন্দুয়া উপজেলার টিকাদার ও আশুজিয়া ইউনিয়ন ধলপা ইউনিয়ন ও পাশের ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে, দুর্গাশ্রম, ভগবতীপুর, সিংহেরগাউঁ, নগুয়া,রামপুর,চন্দ্রাপাড়া, আশুজিয়া সহ প্রায় ২০,গ্রামের মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এর মধ্যে মোঃ মতি মিয়া পিতা মৃত আব্দুর রহমান,হাবিবুর রহমান পিতা আব্দুল হেলিম, কামরুল হাসান পিতা তারা মিয়া,রিপন মিয়া, তোফাজ্জল হোসেনসহ তাদের সাথে কথা বলে শুনা যায়, প্রায় দুই শত পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকাও নিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন গত দুই বছর আগে মেসার্স স্বর্ণা ব্রিকস ভাড়া নিয়ে সাদেক হোসেন ব্যবসা করে আসছিল, তাদের সততাকে মানুষ বিশ^াস করেছিল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই গত বৃহস্পতিবার টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাবে তা মানুষ ভাবতেই পারেনি।
এই দিকে ইট ক্রয় করার জন্য যারা টাকা পয়সা দিয়েছিল তারা এখন সবাই ইটভাটায় এসে মালিককে খুঁেজ বেড়াচ্ছে। ঠিকাদার শামসুল আলম বলেন রাস্তার কাজের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম এখন দেখি ইটভাটায় কেউ নেই। সুলতান আহমেদ জানান ঘড় করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম এখন দেখি কেই নেই। এ ব্যপারে ইটভাটার মালিক মোঃ সাদেকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় আমি স্লিপের মাধ্যমে যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাদেরকে টাকা ফেরত দিয়ে দিব।আশুজিয়া ইউনিয়নের চেয়াম্যান মোঃ মঞ্জুর আলী বলেন শুনেছি দুটি ইটভাটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার সুবাধে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে সাদেক হোসেন নামের ইটভাটার মালিক পালিয়েছে।