সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ হাসপাতাল গেট হতে বারুহাস পর্যন্ত বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুঘটনা। পৌরসভার ভিতরে কোহিত পর্যন্ত রাস্তা পরায় আর বাকী টুকু এলজিইডি’র হওয়ায় দু দিকের রশি টানাটানিতে সড়কটি মেরামত হচ্ছে না। হাসপাতাল গেট ওয়াবদাবাধ বাইপাস বারুহাস রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিদিন যানবাহন উল্টে ঘটছে দূর্ঘটনা। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও পৌরসভায় গিয়ে সরজমিনে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে এলজিইডি অর্থায়নে উপজেলা শহরের যানজোট কমাতে শহরের পুর্ব পাশ্বে হাসপাতাল গেট থেকে উত্তর ওয়াবদাবাধ পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মিত করা হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ব্যাপারীরা বিনসারা, বারুহাস ও বিভিন্ন আড়তের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করে ট্রাকসহ ভারী যানবাহন গুলো বোঝাই করে চলাচল করে। অতচ প্রায় ১ বছরের বেশি সময় সড়কটি বিভিন্ন স্থানে (তাড়াশ গোডাউন মোড়, উত্তর ওয়াবদা বাধের মাঝখানে, কোহিত মালার ব্রিজের পশ্চিম পাশে, চৌবাড়িয়ার পূর্ব পার্শ্বে, বিনোদপুর বাজারের পশ্চিম পাশে, হেদার খাল সংলগ্ন স্থানে, ও বারুহাসের পুর্বে সড়াবাড়ি ব্রিজ সহ বিভিন্ন স্থানে) বড় বড় গতের্র সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরলেও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের। ব্যবসায়ী রবিউল করিম জানান, এই সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী বড় যানবাহন ট্রাক, বাস গুলো ভাঙ্গা রাস্তার কারনে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। শত শত মোটর সাইকেল, অটোরিক্সা, ভটভটি ভোগান্তিতে পরছে এবং কিছু যানবাহন উল্টে র্দূঘটনার শিকার হচ্ছে। ফলে সেই পুর্বের মত মেইন বাজার দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় তাড়াশ বাজারে লেগে আছে সব সময় যানজোট। এছাড়াও পশ্চিম তাড়াশের জরুরী রোগী হাসপাতালে নেয়ার এক মাত্র সড়কপথ বাইপাস রাস্তা। সেই রাস্তা খানা খন্দে পরিপূর্ন হওয়ায় রোগীদের চরম সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, আমরা প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হলেও সড়কটি মেরামত করা হচেছ না কেন জানতে চাই প্রশাসনের কাছে। পৌর শহরের শাহিনুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অফিসের প্রকৌশলী কে জানালে বলেন পৌরসভা কে জানান আর পৌরসভার সচিব কে জানালে বলেন এলজিইডির রাস্তা তারাই মেরামত করবে। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল হোসেন বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল অনুমোদন হয়েছে।অচিরেই গর্ত গুলো পুরন করা হবে। টেন্ডারের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।