বাংলাদেশের এক সময়ের রক্তাক্ত অশান্ত অঞ্চল পার্বত্য চট্রগ্রামের জনপদের শান্তিচুক্তির রুপকার দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ঐকান্ত প্রচেষ্টা আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি জননেত্রী মাননিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির বার্তা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার মাধ্যমে রক্তাক্ত জনপদে শান্তি ফিরিয়ে আনার যে অর্জন করা হয়েছে তারই সেই জনপদের স্মৃতি প্রতিবছরের ন্যায় ২ই ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির দিনটি ঘুড়ে ফিরে আসার আগে বিভাগীয় শহর বরিশালের নাজিরপুলে বিভিন্ন পাহাড়-পর্বতের দৃশ্য চিত্রশিল্পিদের মাধ্যমে নির্মাণ করে নগরবাশিদের মাঝে তুলে ধরেন সাবেক ল-কলেজের (ভিপি) ও ঐতিহ্যবাহি বরিশাল আইনজীবী সমিতির জন নন্দিত সাধারন সম্পাদক এ্যাড, রফিকুল ইসলাম খোকন (মামা খোকন)। খোজ নিয়ে যানা গেছে আসছে আগামী ২ই ডিসেম্বর শান্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নগরীর নাজিরপুল থেকে জেলগেট এলাকায় এ্যাড, রফিকুল ইসলাম খোকনের তত্বাবধায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শান্তি চুক্তির রুপকার আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (এমপি)’র বিভিন্ন ব্যানার সহ বিভিন্ন সাজসজ্জার কাজ করে যাচ্ছেন একদল চিত্র নির্মাণ শিল্পি। সরেজমিনে দেখা যায় নাজিরপুলের দু’প্রান্তে চিত্র শিল্পিদের দিয়ে নির্মাণ করা হয়ে পার্বত্য অঞ্চলের বড় বড় পাহাড়ের দৃশ্য। সেখানে শুধু পাহার নয়। পাহাড়ের ভিতরে থাকা এক সময়ে সেখানে অশান্ত করে রাখা শান্তি বাহিনীর সদস্যরা পাহড়ের গুহায় পালিয়ে এপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়ার পথের দৃশ্য তুলে ধরা হয়। এব্যাপারে একাজে নিয়োজিত পার্বত্য অঞ্চলের দৃশ্য নির্মাণকারী চিত্রশিল্পি হুমাউন কবীর বলেন তারা প্রায় ১৫ থেকে ১৬ জন শ্রমিক নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কাজ করছেন। এখনো সেই পাহাড়ের গাড়ো সবুজ রংয়ের কাজ বাকি রয়েছে যা দিবসটি পালনের আগেই কাজ করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদি। এব্যাপারে অঅইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও এ্যাড, রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ও রক্তাক্ত অঞ্চল পার্বত্য শান্তি চুক্তির রুপকার আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলকে নিজের রাজনৈতিক মেধা দিয়ে যে শান্তি ফিরিয়ে এনে আজ শান্তির রুপ দিয়েছে তা যেন শান্তিতে বসবাসের মদ্য সিমাবদ্ধতার মাঝে থাকে। খোকন আরো বলেন আমরা বাংলাদেশিরা সকলেই যেন রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ও ভালবাসা নিয়ে সকলেই চলতে পারি। তিনি আরো বলেন বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না স্বাধিনতার পর পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি বাহিনীর হাতে কত বাংলাদেশিদের প্রান গেছে। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমে পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলকে একটি শান্তি প্রিয় এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ শুরু করে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহকে দায়িত্ব দেন। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আগামী ২ই ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির ২৫ বছর উপলক্ষে আমার এই কর্মসূচি ও চিত্রকর্মের মাধ্যমে নগরবাশি পার্বত্য অঞ্চল সম্পর্কে অনেক কিছু যানতে পারবে। অন্যদিকে দিবসটি ঝাকঝোমকভাবে পালন করার লক্ষে ২ই ডিসেম্বর বরিশাল জেলার প্রতিটি উপজেলায় সকালে বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ ও দলীয় অঙ্গ সংগঠন কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া বিকালে নগরের ফজলুল হক এ্যাভিনিয় এলাকায় বিশাল সমাবেশ শেষে নগরীতে এক বণ্যাঢ্য র্যালির আয়োজন করবে বরিশাল মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। এ তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড, এ.কে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন।