দিনাজপুরের পার্বতীপুরে যৌতুকের দাবীতে আদুরী বানু(১৯) নামে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ ডিসেম্বর বেলা ১ টায় ওই গৃহবধুর নিজ বাড়িতে পরিবরের লোকজনের সামনে স্বামী শফিকুল ইসলামের(৫৩) তার বিবাহীত স্ত্রী টানা-হেচড়া শুরু করার পর একপর্যায়ে হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী আদুরী বানু। জানা গেছে, বছর খানেক আগে হরিরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন হরিরামপুর শেখ পাড়া গ্রামের মৃত আনছার আলী শাহ ছেলে ও নারী পিপাশু সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শাহ একই ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আইনুল হকের মেয়ে আদুরী বানুকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে গত ১ সেপ্টম্বর-২০২১সালে শরীয়ত মোতাবেক ৪ লক্ষ্য ১ শত এক টাকা মোহরানায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর হতে কলেজ পড়–য়া ছাত্রী আদুরী বানুর উপর নানা নির্যাতনের ঝড় নেমে আসে। নির্যাতন সহ্য করার পরেও সংসার করা হবে না বলে জানিয়ে দেয় নারী পিপাশু শফিকুল মাস্টার। বিবাহ করার পরে কলেজ পড়–য়া তার স্ত্রী আদুরী বেগমের গর্ভে ৩ মাসের সন্তান আসলে তা শুনার পর শফিকুল ইসলাম তার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে আঘাত করে সন্তানকে হত্যা করে। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হলে ৮ম শ্রেণির এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিছুদিন পর পাশবিক নির্যাতন করে তালাক দেয়। এবং তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে আদুরী বানুকে বিয়ের পর আবারও শুরু হয় তার নির্যাতন। এ স্বামীর মারপিটে গুরুতর আহত হলে আদুরী বানুকে গত ২ ডিসেম্বর পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন আদুরী বানু। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।