বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে থামছে না কৃষি জমির মাটি কাটা কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ সারেংকাঠী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঢল নেমেছে স্বচ্ছ মনের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হকের পক্ষে শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র খোকনের দায়িত্ব গ্রহণ অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা বশির আহমদ উপজেলার পর এবার সিলেট বিভাগেরও শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান কালীগঞ্জের আল-জাছির হলেন দেশ সেরা কালিয়ায় মক্কীনগর কবরস্থানের উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল ঈশ্বরগঞ্জে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা আরমান হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন

কৃষকের ঘরে ঘরে হাহাকার ঘুরে দাঁড়াতে নেই কোন সাহায্য

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কালকিনিতে বন্যায় ক্ষতি

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে লগডাউন সহ না প্রতিবন্ধকতায় গত ৫মাস ধরেই কর্মহীন সাধারন মানুষ। তার ওপরে ‘ মড়ার ওপড় ঘাড়ার ঘাঁ’ এর মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে চলতি বছরের বন্যার পানি। এছাড়া আঁড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙ্গনতো লেগেই রয়েছে। এতে করে সাধারন মানুষন এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তবে সবচে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে উপজেলার পানচাষীরা। সরকারী হিসেব মতে বন্যার পানিতে কালকিনি উপজেলায় ১৪হেক্টর জমির পানের বরজ নষ্ট হয়ে ২কোটি ১০লক্ষ টাকার ক্ষতির কথা বলা হলেও বাস্তবে এর পরিমান বহুগুন বেশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের বন্যার পানিতে কালকিনিতে কৃষি ফসলের মোট ২০কোটি ৩৪লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে আউস-২০.৫হেক্টর জমি ক্ষতির পরিমান ২০লক্ষ টাকা, রোপা আমন বীজতলা-২২০হেক্টর জমি ক্ষতির পরিমান ২কোটি ৩৯লক্ষ টাকা, রোপা আমন আবাদ-২৯১হেক্টর জমি ক্ষতির পরিমান ১কোটি ৫৭লক্ষ টাকা, শাখ-সবজি-১৩৭হেক্টর জমি, ক্ষতির পরিমান ৭কোটি ৮৮লক্ষ টাকা, পানের বরজ-১৪হেক্টর জমি ক্ষতির পরিমান ২কোটি ১০লক্ষ টাকা, মরিচ-১৪২হেক্টর জমি ক্ষতির পরিমান ৪কোটি ৪২লক্ষ টাকা, এছারাও পাট সহ অন্যান্য ফসল বাবদ ধরা হয়েছে ১০৯হেক্টর ফসলি জমি যার ক্ষয় ক্ষতির মূল্য ধরা হয়েছে ১কোটি ৫০লক্ষ টাকা। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা ঘুড়ে দাঁড়াতে অর্থনৈতিক সার্পোটের জন্য ব্যাংক লোন নিতে গেলে সহজ শর্তে লোন মিলছেনা বলে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। তার ওপরে প্রনোদনার লোন নিতে গেলে পান চাষিদের বলা হচ্ছে তারা প্রনোদনার ৪% হারের সুদে লোন পাওয়ার আওতায় নেই। তাই নিজের বাঁচার এক মাত্র উপার্জনের মাধ্যম পানের বরজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পান চাষীরা। কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী গ্রামে সড়েজমিনে গেলে দেখা যায় সকল পান বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। আর দুই একটা যা রয়েছে তা দিন রাত মেশিন বসিয়ে পানি সেচ করা হচ্ছে। ভূক্তভোগী পানচাষী ছালাম মোল্লা, মানিক হাওলাদার, রুবেল মৃধা, রকমত মজুমদার, রনি মোল্লা, কুদ্দুস মোল্লা, মালেক হাওলাদার, কুদ্দুস হাওলাদার, ফারুক বয়াতি, কামরুল বয়াতি, মস্তফা ঘরামি, ইকবাল হাওলাদার, হাকিম সিকদার, কাদের সিকদার, রহিম সিকদার, আক্কাস মোল্লা, সামচু সিকদার, নুরুল হক সিকদার, রাজ্জাক সিকদার, ছোট আশরাফ, সাহাদাৎ মোল্লা, কামাল মজুমদার, বাবুল মজুমদার, মনির মজুমদার, মিজানুর সিকদার, আনোয়ার সিকদার, নাসির সিকদার সহ ২/৩শতাধিক চাষী বলেন ‘ আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে শুরু করতে সরকারী বেসরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগিতা চাই।’ বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পর উপজেলা কৃষি অফিস কি ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন ‘ আমরা উপজেলা কৃষি অফিস ৫০টি ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছি। ১৬টি ট্রেতে বীজ তলা তৈরি করেছি। এক একর জমীতে কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করেছি। ’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com