জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মেজর সিনহা হত্যা চরম নিষ্ঠুরতার নিদর্শন। রাষ্ট্রের আনুগত্য পোষণকারী একজন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক নাগরিককে বিনা বিচারে হত্যা কোনক্রমেই গ্রহণীয় হতে পারে না। জনগণের জীবন বলিদান এর জন্য নয়, জীবন সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিনা বিচারে হত্যা এবং হত্যাকে জায়েজ করার জন্য কল্পকাহিনীর রাষ্ট্রীয় পাপ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিৃবতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আ স ম রব বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় সদস্যের স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণে মেজর সিনহাসহ অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপরাধীদের সম্পর্কে সমাজ এবং জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। এ হত্যার বিচারের দাবিতে জনগণ সোচ্চার। মেজর সিনহার হত্যাকা-ও যেন অন্যান্য হত্যাকা-ের মতো অপকৌশলের চোরাবালিতে হারিয়ে না যায়। মেজর সিনহা হত্যাকা-ের উৎস ও কারণ অবশ্যই দেশবাসীকে জানাতে হবে। অন্যদিকে ক্রসফায়ারের মত বিচারবহির্ভূত বে আইনি কর্মকা- বন্ধে তদন্ত কমিটির ১৩ দফা প্রস্তাবনা জাতির সামনে উপস্থাপন করে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তাও জাতিকে অবহিত করতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে দেশের নাগরিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ বলি মেজর সিনহা। এ হত্যাকা- জাতির সর্বস্তরের মানুষের বিবেককে আহত করেছে ও নাড়া দিয়েছে। মেজর সিনহাকে কি কারণে হত্যা করা হলো, এর উৎস কি, এটা কী তাৎক্ষণিক না পূর্বপরিকল্পিত, মেজর সিনহার লাশের অমর্যাদা হয়েছে কিনা, মেজর সিনহাকে কেন দেরিতে হাসপাতালে নেয়া হলো এসব মৌলিক প্রশ্নের জবাব অবশ্যই জনগণকে জানাতে হবে। দেশের নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে আর শেষে কল্পকাহিনী বলা হবে এটা রাষ্ট্রের কোন চরিত্র হতে পারে না। ‘হত্যা’ এবং ‘কল্পকাহিনী’ এ দুটো থেকেই দেশবাসীকে রেহাই দিতে হবে। হত্যাকা- প্রশ্নে তদন্ত ও তার ফলাফল জনগণকে জানানো রাষ্ট্রের নৈতিক দায়।