আওয়ামী দুঃশাসনের আর অপরাজনীতি থেকে বাংলাদেশের কেউ তো নয়ই; এমনকি বিদেশীরাও নিরাপদ নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
প্রিন্স অভিযোগ করেন, হৃদরোগ, ডায়েবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত কারান্তরীণ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওষুধ সরবরাহে বাধা দেয়া হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় দিতে দেয়া হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষে থেকে দেখা করতে গেলে, দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। কারাবন্দী নেতাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। বন্দীদের ডিভিশন দেয়া হচ্ছে না। যা কারা রীতি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারের নির্দেশে এমন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হেনস্তার বিষয়ে এমরান সালেহ বলেন, এটি দুঃখজনক। আওয়ামী দুঃশাসনের যে অপরাজনীতি, তা থেকে বাংলাদেশের কেউ তো নয়ই; এমনকি বিদেশীরাও আজকে নিরাপদ নয়। এই ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, এ ঘটনা মধ্যে দিয়ে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুন্ন হবে। বাংলাদেশের যে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, এখানে যে একটা অপশাসন চলছে তা ফুটে উঠবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির নিখোঁজ এক নেতার বাসায় খোঁজ নিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে হেনস্তা করা হয়েছে। এর আগেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের গাড়িতে মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে হামলা চালানো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আবুল বাশার, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।