শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

মীরসরাইয়ে বেড়েছে আউশের আবাদ, দাম পেয়ে খুশি কৃষক

জিয়াউর রহমান জিতু মীরসরাই (চট্টগ্রাম) :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মীরসরাই উপজেলার ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটার উৎসব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আউশের ফলন দেখে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। মীরসরাই উপজেলার কৃষকরা উন্নত জাতের (ব্রি. ধান-৪৮) আউশ ধান চাষ করে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ফলন পেয়েছে। তবে উপজেলার ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়নের আউশের আবাদ বেশি হয়েছে বলে জানা যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ১ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা হলেও আবাদ করা হয় ৭ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৫ হাজার ২শ মেট্রিক টন। উপজেলা ব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা চাইতেও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী। অতীতের মতো ¯’ানীয় জাত ও উন্নত জাতের ধান বীজ অনেকেই বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকেরা চাষাবাদ করে থাকে। ধান বীজ গুলো কাজলআইল, চিনালধান, ভিন্নাতোয়া, ধলবাচাই, বৈলাম, আশ্বিনী, নাজিরআইল, বাধই, হলোই ধান, বাতুইধান, জিইস ধান, পাইজম ধান ইত্যাদি। সরকারী ধান বিএডিসি, বেসরকারী বীজ কোম্পানী মধ্যে সুপ্রীম সীড কোম্পানী, লালতীর, পাশাপাশি, মল্লিকা সীড, আলফা এগ্রো, ইউনাইটেট, এসিআই, অটো ক্রপকেয়ার এদের উল্লেখযোগ্য বি-৪৮, বি-২৮, বি-৪৩, বি-৭২ নং ধানের বীজ গুলো ভালো ফলন দিয়েছে। মূলত হাইব্রীড ধান বীজ যে কোন মৌসুমে ভালো ফলন দিয়ে থাকে। আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত এ উপজেলার কৃষক আউশ মৌসুমে পানীয় জাতের বীজ আবাদ করতো। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে আগ্রহ হারাছিল। চলিত মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় আউশ চাষে কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। এদিকে উপজেলার ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের (কৃষি বিষয়ক ক্লাব) আইপিএম ক্লাবের সভাপতি আউশ চাষী হানিফ ভুঁইয়া ও সজল দেবনাথ বলেন, আমাদের বাপ-দাদাদের আমল থেকে আমরা আমাদের চাষের জমি থেকে ধান বীজ সংগ্রহ করে সাধারণ চাষাবাদ করতাম। এতে সমস্য হলো বিভিন্ন ধরণে মিশ্রিত ধান হতো এবং ফসল ও কম হতো। ফলে আধুনিক চাষাবাদের তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বেসরকারী কোম্পানীর উন্নতমানের হাইব্রীড ধান বীজ সংগ্রহ করে ভালো ফলন ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি। ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের ঘড়ি মার্কেট এলাকার কৃষক মো.জসিম জানান, সার, বীজ, কীটনাশক এর দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। ফসল যাই হোক না কেন বিগত বছর গুলোতে কৃষক ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ সাহা বলেন, এই উপজেলার কৃষকরা পূর্বে পানীয় আউশ ধানের আবাদ করত। এই বছর সরকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা ও বীজ, সার দিয়ে চাষীদের উৎসাহিত ও সহযোগীতা করেছে। এতে কৃষকেরা উৎসাহিত হয়ে ব্যাপক চাষ করেছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com