যে দিকে চোখ যায় মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ। বগুড়ায় গত শনিবার সারিষা বপনের কাজ শেষে হয়েছে। এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর সরিষার চাষ বেড়েছে। সরিষা জমিতে ব্যস্ত কৃষক আর মৌয়াল। দেশের ভোজ্য তেলের সংকট কাটাতে সরকার সরিষা চাষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সরিষা চাষে উৎসাহ যোগাতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের ব্যাপক প্রণোদনা দিয়েছে। সরিষা চাষে প্রণোদনা হিসেবে জেলার ৩০ হাজার বিঘাতে সমপরিমান কৃষকের প্রত্যেককে ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়েছে।
৫ বছরের মধ্যে সরকার সরিষার আবাদ ৭০ শতাংশ বাড়াতে চাষ এমনটি জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক। তিনি আরো জানান, সয়াবিনের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য এ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে । সায়াবিন আমাদানীতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে,জেলা এ বছর৩১ হাজার ৫শ‘ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত শনিবার বপন কাজ শেষে জেলায় সারিষা চাষ হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে। সূত্র মতে গত বছর জেলায় সারিষা চাষ হয়েছিল ২৭ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে।
৫ বছরের মধ্যে সরিষার আবাদ বাড়িয়ে তেল ফসলে স্বযংসম্পূর্ণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এদিকে সারিষার ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স সারিবদ্ধ বসিয়ে মধু সংগ্রহর জন্য ব্যাস্ত সময় পার করছে মৌয়ালরা। শীত মৌসুমে সরিষা ক্ষেতের ফুল থেকে মৌমাছি মধুসংগ্রহ করে থাকে । আর মৌ মাছিকে নিয়ন্ত্রণে এনে তা থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।