২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে নগরীর জনগুরুত্বপূর্ন সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক (আগরপুর রোড)। পাশাপাশি ড্রেনেইজ ব্যবস্থার সংস্কার ও ২০০ ফিট হাউজিংসহ একটি টিউবয়েল নির্মান করা হবে। বিসিসি সূত্র জানায়, শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (বরিশাল প্রেসক্লাব,) সরকারী মহিলা কলেজ ও আগরপুর রোড নিবাসীদের ব্যবহৃত এই সড়কটি জনগুরুত্ব পূর্ন দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি ছিল। তাই সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ন ও জনবহুল বলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্ মাত্র ১ মাস পূর্বে এলাকাবাসির কাছে প্রতিশ্রুতি দেন যথাশিগ্রই এই রাস্তাটি তৈরী করে দেয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাচঁ বছরের গ্যারান্টি সহকারে প্রায় ২৬০ মিটার রাস্তার কাজ দ্রুতগতিতে নির্মান করা হচ্ছে। একইসাথে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেইজ ব্যবস্থার সংস্কার ও এলাকাবাসিদের বিশুদ্ধ পানি প্রদানে ২০০ ফিট হাউজিংসহ একটি টিউবয়েল নির্মান করার কাজ করা হচ্ছে। বিসিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে নগরীর জনগুরুত্ব পূর্ন এই আগরপুর রোড সড়কটি। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এই প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হতে পারে। আগরপুর রোড সড়কটি নির্মান করা হচ্ছে সর্পূন্ন নিজস্ব অর্থায়নে। বর্তমান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্ নিদের্শনায় এই সড়কটি নির্মান প্রকল্প পরিবর্তন করে আরোও বেশি লেন্থ ও হাইট বাড়ানো হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে রাস্তার কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে আগরপুর রোড সড়ক নিবাসি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. শাজাহান খান, ইঞ্জিনিয়র মো. হাবিবুর রহমান ও সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদ্দুজ্জামান বলেন, এই সড়কটি ছিল আমাদের প্রানের দাবি। বিগত ১৫ বছর যাবৎ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে বার বার আবেদন করেও এই সড়কটি পূর্ন নির্মান করা সম্ভব হয়নি। মাঝে দুই বার বিশেষ বিশেষ স্থানে সংস্কার করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্ আমাদের এই রাস্তাটি পূর্ন নির্মান করছেন। এ জন্য এলাকাবাসির পক্ষ থেকে তাকে জানাই ধন্যবাদ। একইসাথে ধন্যবাদ জানাই ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী আকতারুজ্জামান হিরু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ মাসুদ ও সাধারন সম্পাদক সাঈদ মাহমুদসহ সকলকে। এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্ বলেন, নগরী এই জনগুরুত্ব পূর্ন সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক (আগরপুর রোড সড়কটি) নির্মানে আবেদন এর প্রয়োজন পরে না। কারন এই সড়কটি নির্মান করা আমার দ্বায়িত্ব। এই নগরীর রাস্তাঘাট, ড্রেন, সড়কবাতি নির্মান ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আপনারাই আমাকে পাচঁ বছরের জন্য দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দ্বায়িত্বটুকুই আমি পালন করছি মাত্র। তিনি আরো বলেন আমি যদি এই নগরের বসবাসরত জনগণের অসবিদার কথা মন থেকে অনুধাপন না করি তাহলে তারা কার কাছে যাবে। আমি সবসময় বলে এসেছি আমি নগররাশির একজন খাদেম হয়ে পাশে থেকে কাজ করে যেতে পারি। একই সাথে তিনি বলেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন বলেই আমি কাজ করার মাধ্যমেই বরিশাল শহরের টেকসই সড়কের কাজগুলো আপন মনে করে যাচ্ছি।