শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহের বিভিন্ন বাজারে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহ :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

শীত মানেই কুয়াশা ঢাকা সকাল বেলায় ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু। শীতের সকালকে আরো উপভোগ্য করে তোলে ধূমায়িত ভাপা পিঠা কিংবা চিতই পিঠা বা অন্যান্য বাহারী রকমের শীতের পিঠা। প্রাচীন কাল থেকে অপরুপ বাংলায় শীতকালে চলে আসছে পিঠা পুলির নানা উৎসব। নবান্ন গ্রাম বাংলায় চলছে পিঠাপুলির নানা পর্ব। মাঠে মাঠে সোনালী ধানে এ ভরে গেছে ফসলের মাঠ। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারি দিকে। আধুনিক জীবন যাপন কর্মমুখী ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় এ দৃশ্য কমে গেছে। ঝিনেদার হাট-বাজার পথ ঘাটে পিঠাপুলিতে সাদ নিচ্ছে নবান্নের এসময়ের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শীতকালীন পিঠাপুলি বিক্রি জমে উঠছে। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পিঠা। শীতের আমেজে বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজন পরিবার-পরিজন নিয়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পিঠা খেতে দেখা যাচ্ছে হাটবাজারে। ব্যস্ততার ফাঁকে বেড়ানো সময়ে স্বাদ নিচ্ছে শীতকালীন পিঠাপুলির। এ দৃশ্য যেন চেনা হয়ে উঠছে। ঝিনাইদহ শহরের মার্কেট এলাকা থানা মোড় ডাক বাংলা মোড়, পায়রা চত্বর, আরাপপুর মোড়ে, বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায় পিঠা বিক্রির ধুম। ডাক বাংলার সামনে পিঠা বিক্রেতা মিরাজ জানান তিনি প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করেন। তিনি চিতই, ভাপা, চাপড়ী পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন তার খরচ বাদে বারো থেকে ষোল শতো টাকা লাভ থাকে। তিনি আরো জানান অনেকেই তার দোকান থেকে বাসা বাড়িতে পরিবার পরিজনের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যান। শীতে বেড়ে গেছে পিঠার চাহিদা। পিঠার চাহিদা বেশি হলে তিনি অনেক সময় হিমশিম খেয়ে জান। পিঠার ক্রেতা রনি জানান তিনি ভাপা পিঠা ও চিতল পিঠা নিতে এসেছেন গতো কাল তিনি কয়েকটা পিঠা সখ করে কিনে ছেলেমেয়েদের জন্য নিয়ে যান। আজ তার মা পিঠা নিতে বলেছেন তাই তিনি এসেছেন। তৌহিদ বাড়িতে যাওয়ার সময় প্রতিদিন বাচ্চাদের জন্য পিঠা নেন। শুধু রনি, তৌহিদ ছাড়াও এমন অনেকই বাড়িতে ও পরিবার পরিজনের নিয়ে পিঠা খাচ্ছে। শীতের স্বাদ নিচ্ছে নবান্নের পিঠাপুলির। প্রতিটি পিটা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দামে। অনেকে আবার ঝাল পিঠা কেজি হিসাবেও বিক্রি করে থাকে। এভাবে ঝিনাইদহের বিভিন্ন পথে ঘাটে হাট বাজারে ধুম পড়েছে শীতের পিঠাপুলির।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com