বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কলসকাঠী বাজার খালের উপর নির্মিত খাদ্য গুদামসংলগ্ন আয়রন সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছে কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজ, কলসকাঠী বিএম একাডেমি, কলসকাঠী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলসকাঠী সালেহিয়া সিনিয়র মাদরাসা, কলসকাঠী সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী। জনগুর“ত্বপুর্ন খাদ্য গুদামসংলগ্ন সেতুটি কলসকাঠী ইউনিয়নের সঙ্গে অন্তত তিনটি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটিতে বর্তমানে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রান হাতে নিয়ে পথচারীরা সেতু পারাপার হচ্ছেন। কলসকাঠীর বাসিন্দা হাবিব আকন জানান, দুধল, কবাই ও নলুয়া ইউনিয়ন সহ কলসকাঠী ইউনিয়নের ধাপরকাঠী ও বাগদিয়া গ্রামের হাজারো মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এই সেতু পার হয়ে। সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কলসকাঠী বন্দরের ব্যবসায়ীরাও দুর্ভোগে পরেছেন। কলসকাঠী সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে তখন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সাপ্তাহিক হাটে জীবন-জিবিকার জন্য আসেন। চরম দুর্ভোগে পড়ে এই অঞ্চলের কৃষকেরা। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে আসতে কোনো প্রকার পরিবহন সেতু পার হতে পারে না। মাথায় নিয়ে বহন করতে হয় ধান চাল সহ গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, নড়বড়ে ও ভেঙ্গে যাওয়া সেতুর সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারের বেশিরভাগই ভেঙ্গে পড়েছে। ক্রস এ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা সিমেন্টের ঢালাই দেয়া স্লিপারের ওপর কাঠের মাচা তৈরি করে বেঁধে দিয়েছে। সেতুর বিভিন্ন অংশের স্লিপার ভেঙ্গে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। সেতুর ক্রস এ্যাঙ্গেল গুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্পান ভেঙ্গে গেছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানিয় কৃষকেরা তাদের মাথায় করে ধান চাল ভাঙ্গা সেতু দিয়ে পারাপার করছেন। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, এডিপি থেকে একটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেতুটি আপাদত সংস্কার করা হবে। তবে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওয়াতায় দেয়া হয়েছে। সেই প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আসলে নতুন করে এটি নির্মান করা হবে।