বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ডাকসু ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুগপৎ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল থেকে এক দফার যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে। আমাদের দাবি দ্রুত সরকার পদতাগ করে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। কিন্তু যদি সরকার পদত্যাগ না করে তাহলে জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা ইতোমধ্যে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছে। এখন জনগণ অন্য সংসদ সদস্যদেরকে সংসদ থেকে বের করে দেবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান যখনই আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন বগুড়ার নেতাকর্মীদের তা সফল করতে হবে। গতকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গণমিছিল-পূর্ব বিরাট সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। সমাবেশে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন ও লাভলী রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম, সহিদ উন নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, মোর্শেদ মিল্টন, যুবদলের খাদেমুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদলের রাকিবুল ইসলাম শুভ ও আবু হাসান, ছাত্রদলের সাইদুল ইসলাম ও নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, মহিলা দলের নাজমা আক্তার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়ে দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়। বিএনপির গণমিছিল ঘিরে শহরের মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এছাড়া জলকামান, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সতর্ক অবস্থানে ছিল। উক্ত গণমিছিলে জেলার ২৪টি ইউনিটের ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মী অংশ নেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।