মঞ্জুরী পারভীন ও সালাউদ্দিন কাদের
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সংলগ্ন পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে স্ত্রীর মৃত্যুর পরদিন ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন কাদেরের (৩২) লাশ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থলের কিছুটা দূর থেকে লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের লিডার আবদুর রাজ্জাক জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দলের নির্দেশনায় হাজারি (অনেকগুলো বরশি একসঙ্গে বাঁধা) বরশি দিয়ে লাশ পদ্মা নদী থেকে তোলা হয়। এরপর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সালাউদ্দিন কাদের গোদাগাড়ী থানার শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাদরুদ্দীনের ছেলে। উত্তরা ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা সালাউদ্দিন। তার স্ত্রী মঞ্জুরী পারভীন (২৮) গোদাগাড়ী পৌর এলাকার ফাজিলপুর গ্রামের মৃত মফিজ নায়েবের মেয়ে। মঞ্জুরী-সালাউদ্দিন দম্পতির সাত বছরের ছেলে ও দুই বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে পরিবার নিয়ে পদ্মা নদীর চরে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার বালিগ্রাম) পিকনিকে করতে যান সালাউদ্দিন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী-স্ত্রী নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতে তলিয়ে যান। বিকাল ৩টার দিকে মঞ্জুরী পারভীনকে উদ্ধার করা হয়। তবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন সালাউদ্দিন। আজ সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নবীর উদ্দিন জানান, ঘটনার পর রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল অভিযান পরিচালনা করেছে। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। আজ সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, লাশ থানায় রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।