দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা কমে এসেছে এককের ঘরে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত। গতকাল রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তাতে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি আজ দিনাজপুরে বাতাসের আর্দ্রতা রয়েছে ৮৫ শতাংশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) এই জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়ছে দিনাজপুর। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে এই কুয়াশা। এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে সূর্যের লুকোচুরি। সকাল ৯টা-১০টার আগে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। আবার সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা কম।
এদিকে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ। সকাল থেকে লোকজন কাজে বের হতে পারছেন না। বের হলেও তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। দিনাজপুর সদরের নশিপুর এলাকার কৃষক সমশের উদ্দিন বলেন, ‘প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে সকালে কাজে বের হতে পারছি না। এই সময়ে আমাদের সমস্যা হয়। নিজেরা কাজ করতে পারি না, আবার ক্ষেতেও রোগবালাই আক্রমণ করে।’
কৃষক রমেন চন্দ্র দাস বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় কারণে আলু ক্ষেতে মরিচা (লেট ব্লাইট) রোগ দেখা দিয়েছে। এই কুয়াশা আমাদের জন্য ক্ষতিকর।’ দিনাজপুর আ লিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, আগামী কয়েকদিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে। শৈত্যপ্রবাহটি এই এলাকায় কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে, সেই সঙ্গে একটি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।