সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন সাবেক কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের নেতা পুষ্পকমল দাহাল। গতকাল রোববার তার সাবেক প্রতিপক্ষ এবং অন্যান্য ছোট রাজনৈতিক দলের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। সংসদের নিম্নকক্ষ নবনির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের অর্ধেকেরও বেশি সদস্যের সমর্থন রয়েছে দাহালের প্রতি। তিনি সম্ভবত সোমবার শপথ নেবেন এবং সপ্তাহের শেষের দিকে ২৭৫ সদস্যের সংসদে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন।
সাতটি দল দাহালের প্রতি তাদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মধ্যে খড়গা প্রসাদ অলির নেতৃত্বে তার বন্ধু-শত্রু কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনাইটেড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) রয়েছে। দাহাল এবং অলি ২০১৭ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশীদারিত্ব করেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছরের মেয়াদের মাঝপথে তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে থাকবেন তা নিয়ে বিবাদ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছিল যে তারা মেয়াদ ভাগ করবেন কিন্তু অলি দৃশ্যত প্রত্যাখ্যান করেন, যা দাহালকে ক্ষুব্ধ করে। দাহাল অংশীদারিত্ব ত্যাগ করেন এবং শের বাহাদুর দেউবা এবং তার নেপালি কংগ্রেস দলের সাথে দেউবার নেতৃত্বে একটি নতুন জোট সরকারের অংশ হতে জোটবদ্ধ হন। ২০ নভেম্বরের নির্বাচনের পর কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে একমত হতে না পারায় দেউবা ও দাহাল বাদ পড়েন।
দাহাল প্রচ- নামেও পরিচিত, বা ‘উগ্র একজন’ ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একটি সহিংস মাওবাদী কমিউনিস্ট বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল এবং অনেকের অবস্থা অজানা ছিল। মাওবাদীরা ২০০৬ সালে তাদের সশস্ত্র বিদ্রোহ ছেড়ে দিয়ে জাতিসঙ্ঘের সহায়তা শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দেয়। এবং মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করে। দাহালের দল ২০০৮ সালে সর্বাধিক সংসদীয় আসন লাভ করে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এক বছর পরে রাষ্ট্রপতির সাথে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেন।
নির্বাচনের আগে, দাহাল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে(এপি) একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তার মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে একটি স্থিতিশীল সরকার দেয়া যা পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে।

নেপাল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সরকারে ঘন ঘন পরিবর্তন এবং দলগুলোর মধ্যে কলহের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা সংবিধান রচনায় বিলম্ব এবং ধীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দায়ী করা হয়েছে। দেশটিতে ২০০৮ সালে শতাব্দী প্রাচীন রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির পর থেকে কোনো সরকারই পূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com