শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১১ অপরাহ্ন

এ দায়িত্ব কেবল তৃতীয় পক্ষেরই

সালাহউদ্দিন বাবর
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে ছিল বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ। আর সাভারে আওয়ামী লীগ করেছিল আর এক গণজমায়েত। সে পুরো দিনটা ধরে রাজধানী ছিল উত্তাপ উত্তেজনাপূর্ণ। যাই হোক, এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে নিবন্ধটি আরো কিছু এগিয়ে যাওয়ার পর। গত ১৩ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের খবরের শিরোনাম ছিল ‘১০ ডিসেম্বরের খেলায় জিতেছি, ফাইনাল হবে নির্বাচনে’। সেই খবরের ভেতরে ছিল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের খেলায় আমরা জিতে গেছি। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। এই বক্তব্যকে ঘিরে কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠতে পারে। যে ধরনের খেলার ইঙ্গিত করা হয়েছে তা নিয়েও কথা হতে পারে। তবে প্রথম কথা হচ্ছে রাজনৈতিক ময়দানের ‘খেলায়’ অংশগ্রহণকারী কোনো পক্ষেরই এই রায় দেয়া সমীচীন নয় বা সম্ভব নয়। এ কথা বলা যায় যে, আমরা জিতেছি। তৃতীয় কোনো পক্ষই দিতে পারে, ‘হার জিতে’ সঠিক রায় দিতে অন্য কেউ নয়। এই তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে দেশের মানুষ। তবে এই তৃতীয় পক্ষেরও এখন কোনোভাবেই জোর গলায় সত্য কথা বলার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি নেই। তাই কেবল জনগণের বুকে কান পাতলে শোনা যাবে সত্যিকার অর্থে বিজয়ী কারা। তবে অভিজ্ঞতা বলে মল্লযুদ্ধে নিচে পড়ে গিয়েও অনেকে বলে হারিনি। যেমন বিগত মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনান্ড ট্রাম্প স্বচ্ছ নির্বাচনে পরাজিত হয়েও এখনো বলে চলেছেন, আমিই জিতেছি। অবশ্য কখনো কেউ তার কথায় কান পাতেনি, পাতছে না। বিগত ১০ ডিসেম্বর পক্ষশক্তি যে নির্মম নির্দয় ‘খেলা’ খেলেছেন তা এক কথায় বলতে গেলে ‘ভয়ঙ্কর-ভয়াবহ’। সেমি-ফাইনালে দেশবাসী যে খেলা দেখেছে তাতে তারা বিস্ময়ে বিমূঢ় এবং ভীতিগ্রস্ত। সেজন্য ফাইনালে কোন কসরৎ যে করা হবে, সেটা নিয়ে শঙ্কিত হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এখন গণতন্ত্রকে খেলা, ছলা, হেলার পর্যায়ে নামিয়ে আনার পরিণতি যে কী হবে, ভেবে শুধু দেশের মানুষই নয়, বাইরের থেকেও সংশ্লিষ্ট সব মহল উৎকণ্ঠিত। দেশে মানুষ ভাবছে, গণতন্ত্রের যে নহর সেটা কী ধূসর মরুপথে হারিয়ে যাবে! স্বাধীনতার পূর্বাপর এখনো দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আরো কত বাধা-বিপত্তি আর কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হবে সেটা গায়েবের মালিক আল্লাহই জানেন। আমরা নিবন্ধের সূচনায় বলেছিলাম, ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ছিল উত্তজনাপূর্ণ। শুধু রাজধানী কেন যেসব বিভাগীয় ও জেলা শহরে বিএনপি তাদের সমাবেশ করেছিল সর্বত্র ভয়ঙ্কর এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। সবখানে প্রত্যক্ষ হুমকি দেয়া হয়েছিল নগরবাসীকে যাতে তারা গৃহকোণে আবদ্ধ থাকে। সর্বত্র রাস্তায় লাঠিসোটা হাতে নিয়ে নেমে আসে পক্ষশক্তি কর্মী সমর্থক ভক্ত অনুরক্তদের জঙ্গি মিছিল। এ ছাড়াও পথযাত্রীদের নানাভাবে হেনস্তা করা ছাড়াও ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়েছে। তথাপি আহূত সেসব সমাবেশের দিকে পঙ্গপালের মতো ছুটে এসেছে মানুষ। প্রতিটি সমাবেশেই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সফল হয়েছে। ঢাকায় বিশালতর হবে আহূত সমাবেশ সেই আশঙ্কায় সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করতে কালক্ষেপণ করা হয়েছিল। নেতৃবৃন্দকে জেলে পুরে দেয়া হয়েছে, দলের অফিসে তালা দেয়া হয়েছিল। অভূতপূর্ব সব পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা একাট্টা হয়ে। সেদিন পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের কর্মী-সমর্থকদের আচার আচরণ কার্যক্রম সবই একই সমান্তরালে পৌঁছেছিল। তার পরও বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ পরিণত হয়েছিল মহাসমাবেশে। সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হবার পর সেই ময়দানসংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ছিল হাজার হাজার মানুষ। আরো অবাক হবার বিষয়, সেই ময়দানের বাইরে কোথাও মাইক লাগাতে না দেয়ার পরও, শুনতে না পেলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ছিল হয়তো কেবল সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশের জন্য। এত প্রতিকূলতার মোকাবেলা করার পরও যদি বলা হয়, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি হেরে গেছে; তবে শুধু এতটুকু বলা যেতে পারে, ছাই উড়িয়ে সূর্যকিরণ ঢেকে দেয়া যায় না। দেশের সাধারণ মানুষ তো কোনো দল করে না। নির্বাচন এলে স্বীয় বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত যোগ্য ও উত্তম প্রার্থীকে ভোট দেয়। এখন সেটুকুও কপালে জুটছে না। আজ হাজারও সমস্যায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই জনপদের মানুষ বেঁচে থাকার ন্যূনতম চাহিদাটা শুধু পূরণ করতে চায়। সেটাও এখন আকাশের চাঁদের মতোই বহু দূরে অবস্থান করছে। যেসব অধিকার অঙ্গীকার সংরক্ষিত থাকার কথা সেগুলো আজ নিরুদ্দেশ। তার পরও কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটা দেয়ার মতো জ্বালায় জ্বলতে হয় যখন শোনানো হয়, দেশে অনেক কিছু হয়ে গেছে। এখন দুধ আর ননীর নহর বহর বইবে। তাতে সবাই মুখ লাগিয়ে পান করবে মৃত্যঞ্জয়ী সুধা। এমন সব পরিহাসসুলভ আলাপ। এসব পরিহাসে ক্ষুব্ধ শ্রেণী পেশার মানুষ সেজন্য বিএনপির সমাবেশে হাজির হয়ে উপচে দিয়েছিল সব গণজমায়েতকে। তাদের অব্যক্ত ভাষায় ছিল, এখন একটা পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সবাইকে এই অব্যক্ত বক্তব্য-বার্তা মর্ম কথা বুঝতে হবে। কালক্ষেপণের অবকাশ অতিক্রম হয়ে গেছে। এ জনপদের প্রতিটি ধূলিকণার ভেতরও যেন সেই সুর অনুরণিত হচ্ছে। তা কান পেতে শুনতে হবে। ‘দিনে দিনে বাড়িতেছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ’। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এক অদ্ভুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে এই জনপদে যেখানে রাষ্ট্র, সরকার দল আজ একাকার হয়ে গেছে। এখন কোনটা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, সরকার, দল; তাদের চরিত্র পৃথক করে চেনা যাচ্ছে না।
এসব বিষয় শুধরে দেয়ার লক্ষ্যে গত ১২ অক্টোবর থেকে বিএনপি দেশের বিভিন্ন বিভাগে যে ৯টি সমাবেশ করেছে তার প্রতিটিতে খলনায়কের ভূমিকায় ছিল সেই ত্রয়ীর। সেসব স্থানের জনজীবন যতটা বিপর্যস্ত হয়েছিল তার অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল, সরকারি প্রশাসনের ইঙ্গিতে যানবাহন ধর্মঘট। তার পরও সবাইকে স্বীকার করতে হবে, এমন শত উসকানির পর শান্ত থেকে বিএনপির কর্মীরা অবশ্যই একটা বিরল নজির সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি আরো এক বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে, সেটা হলো দেশে ইতোমধ্যে যে পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গেছে, তাতে এখন এক মাথা দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। তাই দলটি দশ মাথা একত্রিত করতে যাচ্ছে। সে জন্য তারা সমমনাদের একটা নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছে। তারপর সম্মিলিতভাবে আন্দোলনসহ আরো অনেক দূরে পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে দেশবাসীর স্নেহদৃষ্টি ও আশীর্বাদ থাকবে। সবাই সম্মুখ পানে তাকিয়ে অপেক্ষা করবে তার পরিণতি দেখার জন্য। গত ১৯ ডিসেম্বর তাদের সমমনাদের সাথে নিজের চিন্তাচেতনা ও উপলব্ধির সমন্বয় ঘটিয়ে আজকের ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থাকে মেরামতের লক্ষ্যে ২৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আশা আছে, এটা নিয়ে আগামীতে কথা বলব। এদিকে দেশ কোন্ পথে কিভাবে কোনসব বিধানের আলোকে চলবে, রাষ্ট্রযন্ত্রের তিন শাখার দায়িত্ব কর্তব্য কী এবং রাষ্ট্রের সেই তিন বিভাগ, প্রশাসনসহ তথা সরকার, আইন বিভাগ বা সংসদীয় ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের। সেসব যে আইনগ্রন্থে সুলিখিতভাবে সন্নিবেশিত রয়েছে, সেই সংবিধান চালুর অর্ধশতাব্দী পূর্ণ হলো গত ১৬ ডিসেম্বর। স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের ১৫৩ ধারা সম্বলিত সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। কখনো প্রয়োজনে, কখনো ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে সেটা ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে। সে যাই হোক, সংবিধান স্বয়ং বলছে, ‘সংবিধান মান্য করা ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা… প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। এই নাগরিকের অর্থ, রাষ্ট্রের তিন অঙ্গে কর্মরত সব ব্যক্তি এবং সমুদয় মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এই রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত হয়ে আসছে সংবিধান ও নানা আইন ও বিধিবিধান। সংবিধানের প্রয়োগ নিয়ে যেমন শত কথা আছে, তেমনি অপব্যবহার নিয়ে হাজারো কথা রয়েছে। কোনো কোনো পাঠকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, এই প্রবন্ধের মূল সুরের সাথে উপরোল্লিখিত কথাগুলো, আরো উপরের সাথে কথার কথাটা সামঞ্জস্যপূর্ণ! এর জবাব আপনাদের দেয়ার চেষ্টা হবে। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন মহল ব্যাপকভাবে প্রধান বিরোধী দল তথা বিএনপির নেতাকর্মী ধরপাকড় করছে জেলে পুরছে। এর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, গত ৯ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসকে রাত ৩টার পর তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। অথচ সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারে সন্নিবেশিত রয়েছে, “কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা তার সঙ্গে ‘নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর’ ব্যবহার করা যাইবে না। এমন আইন অখ-নীয়, অলঙ্ঘনীয় অবশ্যই পালনীয়।
সহজ কথা, কোনো আইনের বা বিশেষ অবস্থার যুক্তি দিয়ে যন্ত্রণাদায়ক, নিষ্ঠুর বা অমানবিক অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর ব্যবহার জায়েজ করা কোনো কারণ, সুযোগ কোনো ব্যক্তির বা বাহিনীর নেই। যে দু’জন নেতাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হল তারা উভয়েই প্রবীণ বয়োজ্যেষ্ঠ।
তাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে রাত ৩টার পর বাসায় হানা দিয়ে আটক করা হলো, জেলে ঢোকানো হলো। সন্দেহ নেই, এটা বর্ণিত আইনের মারাত্মক ব্যত্যয়। কেননা এভাবে নিয়ে যাওয়ার অর্থ তাদের অপরিসীম কষ্ট দেয়া। এর আগের অনুচ্ছেদে বলা আছে, ৩৫(৪) কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাইবে না।” এর সরল অর্থ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কাউকে ধরে নিয়ে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করতে পারবে না, যা বলানো হলে সে নিজে ফেঁসে যায়। সংবিধানের এসব রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রধান বিরোধী দলের শীর্ষ দুই নেতার সাথে রাত ৩টার পর এমন অমানবিক ও যন্ত্রণাদায়ক আচরণ পুলিশ বাহিনী করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি। অথচ আমরা নিয়তই পক্ষশক্তির কাছ থেকে সোচ্চার কণ্ঠে শুনি ‘আমরা সংবিধান থেকে এতটুকু নড়ব না।’ এসব কি তাহলে অর্থহীন করেই বলা? রাজনীতিবিদদের কণ্ঠে প্রায় শোনা যায় ‘রাজনীতি একটা ডিসেন্ট গেইম, এ্যাথিক্স অব কমপ্রোমাইজ অ্যান্ড ইকোয়েশন’। সেটা কি আমাদের এখানে কেবলই ‘বাত কি বাত’! সেজন্যই হয়তো উপলব্ধিতে এসেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে মেরামত করা এখন জরুরি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। যারা এই ব্যবস্থা চাইলেন, এর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করলেন, তা বাস্তবায়িত হলে দেখা গেল এর অধীনে যেক’টা নির্বাচন হয়েছে এক কথায় সেগুলো ছিল চৎকার নির্দোষ প্রশ্নমুক্ত, জনগণের সমর্থন ধন্য। অথচ তারা এই ব্যবস্থার জন্যই নির্বাচিত হলেন, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ামাত্রই সে বিধান বাতিল হয়ে গেল। এর পরের ঘটনা সবার জানা। দেশে ‘ফ্রি স্টাইল’ নির্বাচন হওয়া শুরু হয়ে যায়। তাতে ভোটারের তথা জনগণের প্রয়োজন আর দরকার হয় না। সেই সুবাদে তারাই বারবার ক্ষমতায় আসছে। যেন তাদের বিকল্প শুধু তারাই, আর কেউ নয়। একে ইতিবাচক ধারণা বলা যায় না। ইমেইল: ndigantababar@gmail.com




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com