মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সূচনা করেছেন। জয়িতার কার্যক্রম আজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পরেছে এবং নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। জয়িতাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী চিন্তাভাবনায় নারীরা এখন আর শাড়ী, চুড়ি পরে চার দেয়ালের মধ্যে বন্ধী নেই। নারীরা আজ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে মেট্রোরেলও চালাচ্ছেন। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন। তাই আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের পক্ষে পূর্ণরায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে নারীদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান এবং নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈষম্যহীন ও সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এ জয়িতা তারই উদাহরণ। তারা সকল বাঁধা পেরিয়ে আজ সফলতার প্রতীক। সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ সকলক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকারণে দেশে আজ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৫ জন নারী উদ্যোক্তা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বিপিএম বার, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস প্রমুখ। নেজারুল ইসলাম বাবু ও অন্বেষা দাস প্রমির সঞ্চালনায় সভার শুরুতে জয়িতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরন করা হয়। এরপর জয়িতাদের জীবনী নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। উল্লেখ্য, এবার বরিশাল বিভাগের সম্মান পাওয়া পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে জবেদা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ডা. রহিমা নাসরিন, সফল জননী ক্যাটাগরীতে মাজেদা বেগম আলেয়া, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা মরিয়ম বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় রেহানা বেগম।