কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কফিল উদ্দিনের পরিবারকে না শরিক ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখল ও বসতবাড়ি নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরনতুন বন্দর গ্রামে। অভিযোগে জানা গেছে, মৃত হাওয়া শেখের পুত্র মৃত কছের উদ্দিন ও মৃত নছের উদ্দিন উভয় ১৯৪৭-৪৮ সালে আমল নামা পত্তনিমূলে কফিল উদ্দিনের নিকট সিএস ১১৮০ খতিয়ান, ৪৫০৬ দাগে ১০৭ শতক ও ৪৫০৭ দাগে ১০৭ শতক মোট ২,১৪ শতক জমি বিক্রয় করে এবং কফিল উদ্দিনের নামে এসএ ১৪১২ ও ১৪১৫ খতিয়ানে রেকর্ডিয় মালিক ছিলেন। কফিল উদ্দিন মালিক সুত্রে তার ওয়ারিশ পুত্র গোলে রব্বানী প্রাপ্ত হয়। গোলে রব্বানির মৃত্যর পর ওয়ারিশ পুত্র সাহেব হোসেনগং উক্ত জমিতে বাড়িঘরসহ ফসলের চাষ করে আসছিল। কফিল উদ্দিনের মৃতুর পর চতুরত্তায় মৃত পুত্র গোলে রব্বানির ওয়ারিশ গন আব্দুল মাজেদ, সাহেব হোসেন, খুকুমনি, তারামনি স্ত্রী মালেকা খাতুনকে ভারতীয় নাগরিক সাজিয়ে নাশরিক করে আদালতের নোটিশ গোপন করে একতরফা ডিগ্রী হাসিল করেন। উক্ত খতিয়ান ভূক্ত জমিতে ৮ একর সাড়ে ৪৪ শতক জমি হইতে ৭ একর ৭৮ শতক জমি বিভিন্ন মালিকের নিকট বিক্রয় করেন। যাহা আদালতে প্রমানিত হওয়ার পর আইয়ুব হোসেন গংদের পক্ষে সাড়ে ৬৬ শতক জমি আদালত কর্তক ডিগ্রী প্রাপ্ত হওয়ার পরেও পেশী শক্তি প্রয়োগ করে আইয়ুব হোসেন বর্তমানে সাড়ে ৩ একর জমি জোবর দখলে নিয়েছেন। এমতাবস্থায় সাহেব আলীগং অত্যান্ত সহজ, সরল, জনবলহীন, নিরীহ। আইয়ুব হোসেন সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণের সহিত যোগসাজসে মিলিত হইয়া অবৈধবাবে চক্রান্তমূলক সাহেব আলীর পরিবারদেরকে নাশরিক করে তারা একতরফা ডিগ্রীর বলে উক্ত জমিতে সঙ্গীয় মাস্তান প্রকৃতির লোকসহ হাতে লাঠি ছোড়া, দা, কোদালসহ নানাজাতীয় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জোর পুর্বক জমিতে প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে জমি বে-দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে পিছিয়ে যায়। বাদীদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও জমি অন্যায় ভাবে বে-দখলে নেয়ার চেষ্টা ও অন্যায় কাজে বিবাদীর লোকজন বাধা দিলে যে কোন মূহুর্তে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ শান্তিভঙ্গজনিত যে কোন ঘটনা ঘটিতে পারে। তজ্জন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্য্যবিধি দন্ড আইনে আদালতে ১৪৪ ধারা মোতাবেক নিশেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করেন ২৯ সেপ্টেম্বর ২২। আবেদনের ফলে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা আদেশ মতে পিটিশন নং ৪৬৭/২০২২ (রৌমারী), প্রসেস নং ১৫১৬/২২, তারিখ ১১/১০/২০২২ আদালত থেকে নোটিশ আসা বিবাদী পক্ষ আইয়ুব হোসেনকে রৌমারী থানা পুলিশ এএসআই শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে নোটিশ প্রদানে উক্ত জমিতে নিশেধাজ্ঞা জারি করেন। তথাপিও কোর্টের আদেশ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা অমান্য করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে রাতারাতি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও জমি বেদখলে নিয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি নির্মান করেছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষ আবারও রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এবিষয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ, মঞ্জু মিয়া, আব্দুল লতিফসহ আরোও অনেকেই বলেন, আইয়ুব হোসেন জোড়পুবর্ক বাড়িঘর ভাংচুর করে জমি বেদখল করেছেন। এ বিষয়ে বিবাদী আইয়ুব হোসেন বলেন, আমরা আইনের রায়ের বলে জমিতে ভোগদখলে এসেছি এবং ঘরবাড়ি নির্মান করেছি। মৃত সাহেব হোসেনের স্ত্রী বাদী হাজরা খাতুন বলেন, আমাদের ক্রয়সূত্রে এবং রেকর্ড ভুক্ত জমি আইয়ুব হোসেন বে আইনি ভাবে জোরপুর্বক জবরদখল করে জমিতে প্রবেশ করেছে। উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ পাওয়ার পরেও আমাদের ভোগদখলিয় ৫০ শতক জমির উপরে থাকা ঘরবাড়ি ভাংচুর করে ৯০ শতক জমির দাবী করে নিজেদের ঘরবাড়ি নির্মান করেছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গে ঘরবাড়ি নির্মানে আবারও একটি আবেদ করা হয়েছে। রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকারকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গে জমি বেদখল ও ঘরবাড়ি নির্মানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, অইয়ুব হোসেন আদালতের আইন অমান্য করে অন্যায় ও অবৈধভাবে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও জমি বেদখল করেছে। অভিযোগ পেয়েছি। আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি। আদালত থেকে প্রতিবেদনের আদেশ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।