স্বাধীনতা অর্জনের পর ৫০টি বছর পার হয়ে গেছে। অর্ধশত বছর বয়সী দেশটির ক্রীড়াঙ্গনে সেরা ক্রীড়াবীদ কে? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা এখনও পর্যন্ত করেনি কেউ। তবে এই প্রথম এই মহান উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সবচেয়ে পুরতান সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ)।
সংগঠনটি উদযাপন করছে ৬০ বছর পূর্তি (হীরকজয়ন্তী)। এ উপলক্ষে আজ রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ কে। ১০জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছিলো। সেখান থেকে আজ অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে ঘোষণা করা হয় তিনজনের নাম। তার হলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সাবেক ফুটবলার, বর্তমানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং দাবাড়ু গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ।
এই তিনজনের মধ্য থেকে বাছাই করে নেয়া হয় সেরা ক্রীড়াবীদের নাম। কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে পেছনে ফেলে এই গৌরবের মুকুট অর্জন করে নেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয়স্থান অর্জন করেন কাজী সালাউদ্দিন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
৯ সদস্যের বিচারক প্যানেল ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। তাদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত করা হলো প্রথমে তিনজন, এরপর সেরা একজন। উপরোক্তা তিনজন ছাড়া বাকি ৭জন হলেন- ফুটবলে প্রয়াত মোনেম মুন্না, ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মর্তুজা, অ্যাথলেটিকসে প্রয়াত শাহ আলম, সাঁতারে মোশাররফ হোসেন খান, বক্সিংয়ে মোশারফ হোসেন, শুটিংয়ে আসিফ হোসেন খান ও গলফে সিদ্দিকুর রহমান। এই সাতজনকেও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
একইসঙ্গে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখককে হীরকজয়ন্তী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন- আব্দুল হামিদ, তৌফিক আজিজ খান, বদি-উজ-জামান, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, আব্দুল তৌহিদ, আতাউল হক মল্লিক, মতিউর রহমান চৌধুরী, দিলু খন্দকার, শহিদুল আজম ও মোস্তফা মামুন। বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে ব্যাটে জয়-বাংলা স্লোগান লিখে মাঠে নামার অসীম সাহসিকতা দেখানো জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এ এস এম রকিবুল হাসানকে।