এ যেন এক ফুলের রাজ্য। ব্যস্ততম এই জীবনযাত্রার মাঝে হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দিতে, অপরূপ ফুলের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে অন্যতম স্থান হতে পারে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ। বলছি শরীয়তপুরের জেলা পরিষদ ভবনের দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগানের নানান প্রজাতির বৃক্ষের ফল ও ফুলের কথা। মন ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির বিকল্প নেই, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ভিতর একবার প্রবেশ করলে পুষ্পের সমারোহ আর ঘ্রাণে ভরে ওঠে মন-প্রাণ। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামীম হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘ দৃষ্টিনন্দন এই মিনি পার্ক। চারদিকে লাল, নীল, গোলাপী বেগুনি হলুদ, সাদা হরেক রকমের বাহারি ফুল বাগানটিতে। এ রকম মনোমুগ্ধকর ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান জেলা পরিষদের ভিতরে। এছাড়া ছাদবাগানে গিয়ে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৩০ ধরনের শতাধিক গাছ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্লভ মিয়াজাকি আমের গাছ, মাল্টা, সফেদা, রকমারি জামরুল, কমলা, আঙুর, আপেল, বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ। রয়েছে নিম, অর্জুন, হরিতকি, বহেড়া, বাসক পাতা, অশোক গাছ চোখে পড়েছে। শরীয়তপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামীম হোসেন বলেন, ফল ও ফুলের বাগান করা আমার শখ ও ভালোলাগা। জেলা পরিষদের ছাদ ও আশেপাশে থাকা ফাঁকা জায়গা দেখে আমার মনে হয়েছে, এখানে ফল ও ফুলের বাগান করা সম্ভব। তখনই পরিকল্পনা করি এই বাগান করার। আমাকে বাগান করতে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। পাশাপাশি পরিষদের সকল সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেছে।