আজ ৪ জানুয়ারি ২০২৩। বিশ্ব ব্রেইল দিবস। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিছু নিজস্ব ঐতিহাসিক দিবস সেসব দেশে পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব ব্রেইল দিবস: বিশ্ব ব্রেইল দিবস। বিশ্বের প্রতিটি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পড়া ও লেখার বিশেষ পদ্ধতির নাম ব্রেইল। এর আবিষ্কারক লুইস ব্রেইল। আজ তার শুভ জন্মদিন। ব্রেইল ১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারী প্যারিসের নিকটবর্তী কুপভেরি নামক একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে সম্মান জানাতেই তার জন্মদিনে ব্রেইল দিবস পালন করা হয়। ব্রেইল তিন বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যাবার পর বিশ বছর বয়সে অন্যান্য অন্ধ ব্যক্তিদেরকে শিক্ষা দিতে অগ্রসর হন। ১৮২৭ সালে তিনি প্রথম ব্রেইল পদ্ধতির বই প্রকাশ করেন । তবে সে সময়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা প্রথমদিকে এই মোটা কাগজে ডটের সাহায্যে লেখা পড়ার পদ্ধতিটি অনুধাবন করতে পারেনি।ব্রেইলের নিরলস অধ্যাবসায়ে আজ অন্ধদের পৃথিবী দেখাচ্ছে এ পদ্ধতিটি। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় ব্রেইল পদ্ধতিটিকে নিজস্ব ভাষায় উপযোগী করে তৈরী করেছে।
স্বাধীনতা দিবস (মায়ানমার): আজ মায়ানমারের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৮ সালের এ দিনে দেশটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন হতে মুক্ত হয়। মায়ানমারের রাজধানী নেপিদে দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করা হয়। দিবসটি তাদের সরকারি ছুটির দিনগুলোর অন্যতম। অং সানের মৃত্যুর পর দেশটি স্বাধীন হয়েছিল।
১৯৪৮ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত বার্মা চারটি বহুদলীয় নির্বাচন দেখেছে কিন্তু অং সানের সঙ্গে সম্পাদিত তিন প্রধান উপজাতীয়দের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। উপরন্তু বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য অঞ্চলে, যার মধ্যে রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত আরাকান, যার বর্তমান নাম রাখাইন অঞ্চলও যুক্ত হয়।
শহীদ দিবস (কঙ্গো): আজ আফ্রিকার দেশ গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোতে পালিত হচ্ছে তাদের শহীদ দিবস। কংগোর জনগনের জন্য দিবসটি খুবই গুরুত্ব বহন করে।দিবসটিতে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। ১৯৫৯ সালে বেলজিয়ান উপনিবেশবাদের বিরোদ্ধে কঙ্গোর জনগনের করা এক শান্তিময় লংমার্চে গুলি বর্ষণ করা হয়। এতে শতাধিক মানুষ শহীদ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরে বেলজিয়াম সরকার কঙ্গোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।