বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটির নেতৃত্বে ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি) কামরুজ্জামান দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন, সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান বলেন, ‘মামলা দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর চেষ্টা এই সরকারের পুরনো কৌশল। কিন্তু এবার বিএনপি নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে। মামলা দিয়ে, হামলা করে, জেলে ভরে কোনো লাভ হবে না। জিয়া পরিবারকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তাতেও কোনো লাভ হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় জিয়া পরিবার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, তিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। আর খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষায় আজীবন লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরাচারী শাসনের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু আজ সেই গণতন্ত্র ফ্যাসিবাদের কবলে। এবার গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই করছেন তারেক রহমান। আর এতেই এই অবৈধ সরকার ভীত হয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে কোনো লাভ হবে না। জনতা এবার রাজপথে নেমেছে।’ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘আমি এই সরকারকে একটি কথা বলতে চাই, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো চক্রান্তেই যুবদল রাজপথ ছেড়ে দিবে না। যুবদল রাজপথে এ সরকারকে মোকাবেলা করবে ইনশাআল্লাহ। যুগপৎ আন্দোলনে ভয় পেয়ে সরকার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আদালতের মাধ্যমে একটি মিথ্যা মামলায় দেশনায়ক তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে হীন অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সম্পত্তির দরকার নেই, দেশনায়ক তারেক রহমানের সম্পত্তি বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের জনগণ। সম্পত্তি ক্রোক করে মামলা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’