ক্রিকেট মাঠটা যদি কোনো ক্যানভাস হয়, বলকে যদি বলা হয় রং আর ব্যাটটা রং-তুলি; তবে ব্যাটিং যেন তার মোনালিসা, আর তিনি স্বয়ং দ্য ভিি । বলছিলাম ভারতীয় ক্রিকেটার সূর্য কুমার যাদবের কথা। প্রশ্ন করতেই পারেন, কেন এতো প্রশংসা, দাবি করতেই পারেন কথাগুলো অতিরিক্ত, অতিরঞ্জিত। তবে উত্তরে শুধুই বলব, সদ্য শেষ হওয়া ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা দেখে আসুন। কী দেখতে পাবেন জানেন? দেখতে পাবেন, সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতার ফলে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। যেখানে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ রানেই ফিরেছেন ইশান কিশান আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৬ বলে ৩৫ রান করে ফিরছেন রাহুল ত্রিপাঠি। আর সেখান থেকেই উত্তাপ ছড়ানো শুরু সূর্যের; সূর্য কুমার যাদবের। ওই উত্তাপ যখন থামলো নির্ধারিত ওভার শেষে ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ২২৮। আর সূর্য কুমার অপরাজিত আছেন সাতটি চার আর ৯টি ছক্কায় ৫১ বলে ১১২ রানে! তবে শুধু রান দেখেই প্রশংসা নয়, প্রশংসার কারণ তার শৈল্পিক ব্যাটিং প্রদর্শনী। মনে হতেই পারে ‘যেমন খুশি তেমন সাজ’ চলছে, যাকে ক্রিকেটের ভাষায় বলে ‘যেমন খুশি তেমন মারো।’ কিংবা প্রশ্ন উঠতেই পারে মনে, বলতেই পারেন ব্যাটিং করা এত সহজ!
সূর্য কুমার একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্ত থেকে রান করেছেন শুভমান গিল ও অক্ষর প্যাটেল। গিল করেছেন ৩৬ বলে ৪৬ ও অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে আসে ৯ বলে ২১ রান। সুবাদে শ্রীলঙ্কাকে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ভারত।
তবে ২২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা, মাত্র ১৩৭ রানেই থামে তাদের ইনিংস। ফলে ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন কুশল মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা। তাছাড়া ২২ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। আর্শদ্বীপের ৩ উইকেট করলেও হার্দিক পান্ডিয়া ও উমরান মালিক শিকার করেন ২টি করে উইকেট। ফলে ৯১ রানের বিশাল পায় ভারত।