গতকাল দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে ঘোড়াঘাট ইউএনও’র মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) দেবদাস ভট্টাচার্য্য ইউএনও এবং তার পিতাকে হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমরা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে হামলাকারীর সাথে কারা জড়িত এবং কি কারণে এই হামলা করা হয়েছে? আমরা আশা করি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারব। এই মুহূর্তে অনেক প্রশ্নের জবাব দেয়া যাবে না। উক্ত হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে রবিউল ইসলাম (২৪), ৭নং বিজোড়া ইউ,পি, বিরল থানা, দিনাজপুরকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় এবং শনিবার বিকাল ৪টায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে সোপর্দ করে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ। আদালতে আসামীর রিমান্ড আবেদন করে এবং বিজ্ঞ বিচারক আসামী রবিউলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইউএনও’র উপর হামলার আসামী নবিরুল ইসলাম ও সান্টু দাসকে গত শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর ৭ দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। দিনাজপুর পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে তার জায়গা নতুন ওসি’র দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রংপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিমুদ্দিনকে। তিনি আরও জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার উপর হামলার ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়নি। হামলার ঘটনার সাথে ওসি প্রত্যাহারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। চাকুরীর স্বাভাবিক নিয়মেই তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।