বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে আবারও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রোয়াংছড়ি ও রুমা পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে থানচিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। অবশ্য গত ৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দিন এই তিন উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বান্দরবান সেনানিবাসের রিজিয়ন। এজন্য পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এই তিন উপজেলা ছাড়া অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বলেন, ‘রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে আবারও সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই তিন উপজেলা ছাড়া বাকিগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।’
এর আগে ১৭ অক্টোবর রাত থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত রুমা ও রোয়াংছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ওই দুই উপজেলাসহ থানচি ও আলীকদমে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ৩১ থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়।
পরে এই চার উপজেলায় ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবারও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আলীকদ?মের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই তিন উপজেলায় আবারও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে থানচিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রোয়াংছড়ি ও রুমাতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়। ওই দুই উপজেলায় ২১ নভেম্বর থে?কে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আবারও ২৮ নভেম্বর থে?কে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার একদিন আগেই ৪ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ১১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারও তিন উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।