বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামের আঃ রহিম ওরফে আলাউদ্দিন হত্যা মামলার মূল হত্যাকারী মোঃ রুবেল হাওলাদার(১৭)কে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে বামনা থানা পুলিশ। রুবেল দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামের মোঃ খলিল হাওলাদারের ছেলে ও মাদারতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণী ছাত্র। পুলিশ জানায় আলাউদ্দিন ও রুবেল পরষ্পর বন্ধু। রুবেল তার স্বীকারোক্তিতে জানায় আমি চট্রগ্রামের একটি মেয়েকে ভালেবাসি তার সাথে মোবাইলে কথা বলার জন্য আমার একটি মোবাইল দরকার। আমার বাবা একজন জেলে। আমার পক্ষে মোবাইল কেনার কোন সামর্থ না থাকায়। আমি আলাউদ্দিনের হাতের মোবাইলটি পছন্দ করি এবং ওকে হত্যা করে মোবাইলটি নিবো বলে পরিকল্পনা করি। পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধু আলাউদ্দিনকে নিয়ে চলাভাঙ্গা দরবার শরীফে আসি এবং ওকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে চা খাওয়াই। চা খাওয়ার শেষে ওকে দরবার শরীফের পিছনে ধান খেতে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করি। হত্যা করে আলাউদ্দিনের মোবাইল নিয়ে প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য চট্রগ্রামে চলে যায়। বামনা থানাপুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারী সনাক্ত করে তাকে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে গেপ্তার করেন। মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারী) সকালে হত্যাকারী রুবেলকে বামনা থানাপুলিশ ১৬৪ ধারার জবান বন্দী রেকর্ড করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট পাঠায়। জানাগেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চলাভাংগা দরবার শরীফের পিছনের ধানক্ষেত থেকে উত্তর কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আ.রহিম ওরফে আলাউদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস লাগনো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহতের মা রোজিনা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামী করে বামনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বামনা থানাপুলিশ মুল হত্যাকারী সনাক্ত করে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম জানান, আলাউদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরে হত্যাকারী রুবেলকে চট্টগ্রাম থেকে মোবাইল সহ গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক ভাবে রুবেল আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। রুবেলের ১৬৪ ধারার জবান বন্দী রেকর্ড করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে নিকট পাঠানো হয়েছে।