অর্থ জমা দিয়েও রংপুরে নির্মানাধীন সমবায় ব্যাংক মার্কেটের দোকান বরাদ্দ না পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীরা। রংপুর মহানগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ আয়োজিত এক সম্মেলনে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারিকুল ইসলাম জানান, কয়েকযুগ ধরে সমবায় ব্যাংক মার্কটে বরাদ্দকৃত দোকানঘরে ব্যবসা করে আসছিলাম। ২০১৪ সালে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের দুই বছর মেয়াদকালীন অর্ন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুসহ কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে গৃহীত লিখিত সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা পুরনো ব্যাংক ভবনসহ মার্কেটের সকল দোকানঘর ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওই সময় দোকানঘর মালিক ও ব্যবসায়ীরা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে নতুন করে দোকানঘর বরাদ্দের জন্য টাকাও জমা করেছিলাম। যা প্রায় ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। যার ব্যাংক স্লিপ, রিসিভ কপি ও বিভিন্ন সময়ের চিঠিপত্র তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। অথচ নির্মিত কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক বিপণী বিতানের বর্তমান ভবনে ইতোমধ্যে অনেককেই দোকানঘর বুঝিয়ে দেয়া হলেও আমাদেরকে দোকানঘর হস্তান্তর করতে কমিটির লোকজন টালবাহান করছেন। এতে করে পুরাতন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা স্থাবর-অস্থাবর হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনতিবিলম্বে পূর্ব শর্তানুযায়ী দোকানঘর বরাদ্দ দেয়া না হলেও মানববন্ধন ও আমরণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন বিক্ষুদ্ধ ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান তুষার কান্তি ম-ল জানান, দোকানঘর বরাদ্দ পেতে তারা যে দাবি করছেন তা যৌক্তিক। তাদেরকে দোকানঘর বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে দোকানঘর বরাদ্দ দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী দেবদাস ঘোষ দেবু, চৌধুরী শামীনুর জামান, মোস্তাফিজ বিল্লা ওসমান, সাজু মিয়া, দেবাশিষ দাস প্রমুখ।