৪টি গ্রাম ও তার আশপাশের প্রায় ৫০ হাজার লোকের চলাচল। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও একমাত্র বাজার বারোবাজারে আসতে হলে এই অঞ্চলের মানুষকে এই চৌরাস্তার মোড়টি অতিক্রম করতে হয়। প্রায় অর্ধমাস ধরে সংস্কারের জন্য চৌরাস্তার একমাত্র কালভার্টটি খুড়ে রাখা হলেও কাজের কোন অগ্রগতি নেই। আর সংস্কারের ধীরগতির জন্য চলাচলের চরম ভূগান্তি পোহাতে হচ্ছে অত্র অঞ্চলের জনসাধারণের। এ অবস্থা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের। ঠিকডাঙ্গা রাস্তার এই চৌরাস্তার মোড় দিয়ে চলাচল ঠিকডাঙ্গা, পিরেজপুর, বাদেডিহি ও বারোবাজার এলাকার মানুষের। ঠিকডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ন জানান, এই কালভার্টটি খুড়ার কারেণ ভ্যান, ইজিবাইক ঠিকমত চলতে পারে না। যার কারণে আমাদের চলাচলের চরম ভুগান্তি হচ্ছে। বাদেডিহি গ্রামের মিঠু জানান, কালভার্টটি খুড়ে রাখাই গাড়ি চলাচল করতে না পারে চরম ভুগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নাম না প্রকাশে অনুচ্ছুক অনেকে জানান, কালভার্টটি খুড়ে রাখার কারণে এই এলাকার মানুষে ধান, সবজিসহ কৃষি পন্য বাজারে আনা-নেওয়া করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মুলত ভ্যান ও ইজিবাইকসহ গ্রাম্য রাস্তাগুলোতে চলাচলকারি যান চলাচলে বিঘœ ঘটায় এই ভূগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রাতে সড়কে সড়ক বাতি না থাকায় মোড়টি দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয় ব্যবহারকারীদের। অনেক সময় হাইওয়ে পুলিশ বারোবাজার তৈল পাম্পের সমনে অভিযান চালানোর কারণে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের অনেক ছোট ছোট যানবহন ঠিকডাঙ্গা চৌরাস্তার মোড় দিয়ে চলাচল করে। বর্তমানে মোড়ের এই কালভার্টটি খুড়ার ফলে চলাচলে চরম বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। ৯নং বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান,মূলত ইটভাটার ইট বোঝাই ট্রাক্টর ও মাটি বোঝাই গাড়ির অতিরিক্ত চাপে কালভার্টটি ভেঙে যায়। পূর্বেও এটি একবার সংস্কার করা হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি নিরসনে অতিসত্বর কালভার্টটি সংস্কার করে দেবো।