বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন

নাজিরপুরের শেষ সীমানা প্রত্যন্ত বিল দেউলবাড়ী ও মালিখালীর বিলবাসীদের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম বাঁশের সাঁকো

আকরাম আলী ডাকুয়া (নাজিরপুর) পিরোজপুর :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৩

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের শেষ সীমানা প্রত্যন্ত বিল দেউলবাড়ী ও মালিখালীর বিলবাসীদের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। নাজিরপুর উপজেলার শেষ প্রান্ত দেউলবাড়ি ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম ও টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালীপাড়া উপজেলার নয়াকান্দি ইউনিয়নের বানারঝোড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বাশঁবাড়িয়া নদী। এ দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বাশের সাঁকো। সোনাপুর ও বানারঝোড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদীতে ব্রীজ না থাকায় আট গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ২০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে পারাপার হচ্ছেন এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এলাকাবাসী জানান, এ স্থানে ব্রীজ না থাকায় নাজিরপুর উপজেলার সোনাপুর, চাঁতর, বিলডুমরিয়া, পদ্মডুবি, দেউলবাড়ি, পেনাখালি, ঝনঝনিয়া ও টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালীপাড়া উপজেলার বানারঝোড়, নয়কান্দি, করফা গ্রামের বাসিন্দারা ও দুই পাড়ে অবস্থিত প্রাথমিক , মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহ সাধারণ মানুষের চলাচলের ও মালামাল আনা-নেয়ায় পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এমনকি ঐ সকল এলাকায় বসবাসকারীদের যদি কোন পরিবার অসুস্থ হয়ে পরে বা প্রসূতী মায়েদের জরুরী সেবা থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। এলাকাটি নাজিরপুর উপজেলার শেষ সীমান্ত হওয়ায় জনসাধারনকে অনুন্নত রাস্তাঘাট থেকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাশঁবাড়িয়া হয়ে মাটিভাঙ্গা-পিরোজপুর মহাসড়ক দিয়ে বাস কিংবা অটোরিক্সায় প্রায় ৩০ কিঃমিঃ ঘুরে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। এ ছাড়া তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার জাত করনে পড়তে হয় চরম দূর্ভোগে। সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছোট খাট দূর্ঘটনা এছাড়াও বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ, বই খাতা সহ পরীক্ষার এডমিট পর্যন্ত সাঁকো পারাপারের সময় পানিতে পড়ে নস্ট হয়ে যায় । ফলে মৃত্যু ঝ’কিঁতে থাকতে হয় প্রসুতী মায়েদের ও ঝড়ে পরার সম্ভবনা রয়েছে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের। সোনাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন গাজী জানান, বেশির ভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে প্রায়ই বই, খাতা নষ্ট করে। মাঝে মাঝে সাঁকো ভেঙে গেলে আমার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়। তাই আমাদের এলাকা প্রধানমস্ত্রীর জন্মস্থানের পার্শ্বে হয়েও আমরা অবহেলিত, এখন আমাদের দাবী আর বাঁশের সাঁকো নয়, এখানে অনতি বিলম্বে একটি ব্রীজ হওয়া প্রয়োজন। বিলডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আখতার তালুকদার বলেন, নদীতে ব্রিজ না থাকায় কৃষকেরা কৃষিপণ্য মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার তরুর বাজার ও পার্শ্ববর্তী সাতলা, হারতা বাজারে ব্যবসার উদ্দেশ্যে যোগাযোগে পড়তে হয় চরম বিপাকে। এলজিইডি প্রকৌশলী মো.জাকির হোসেন জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কোটালীপাড়া ও নাজিরপুর উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য গাওখালি থেকে কাচারীভিটা নামক স্থানে একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। আমরা উক্ত স্থানে দুই উপজেলার যোগাযেগের জন্যএকটা কানেক্ট বের করতে চাচ্ছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com