শীতে কাবু সারা দেশ। নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে তিন বেলার খাবার কিনতেই তাদের চলে যাচ্ছে আয়ের সিংহভাগ। বাজারে কোনো পণ্য কিনতে গিয়েই স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। গরম কাপড় কিনার টাকা তারা কোথায় পাবেন? প্রতিটি পণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে। মধ্যবিত্তরাও এখন দামের চাপে ব্যাগের তলানিতে পণ্য নিয়ে ফিরছেন ঘরে।
পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, শান্তিনগর ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে তাদের কষ্টের কথা। সাধ আর সাধ্যের ফারাকের কথা। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানের চালের দাম কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব, বাজার মনিটরিংয়ের অভাব, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটসহ নানাবিধ কারণে বাজারে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে, পণ্যের দাম কী পরিমাণে বাড়া উচিত এবং কী পরিমাণে বেড়েছে, এ খবর রাখতে কোনো সংস্থাকেই মাঠে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে, যে যার মতো পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। এতে সব শ্রেণির ক্রেতারা পড়ছেন ভোগান্তিতে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরি বলেছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি মানে এই নয় যে, ব্যবসায়ীরা যা খুশি তা-ই করার সুযোগ পাবে। বিশ্বের অনেক দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি থাকলেও তার নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারের হাতে। বাংলাদেশেও এ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সরকারের হাতে রাখতে হবে। এজন্য দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর মনিটরিং সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।
আমরা মনে করি, সরকারের পক্ষ থেকে এই মুর্হূতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও শীতার্ত মানুসের পাশের দাঁড়ানো খুবই প্রয়োজন। আশা করি বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুরুত্বে সাথে বিবেচনা করবে।