শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোটাপাড়া নামকস্থানে কীর্তিনাশা নদীর উপরে নির্মিত কোটাপাড়া ব্রীজ ও জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট ব্রীজ দ’ুিিটর অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন ।এ ব্রীজের উপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছে যাত্রি সাধারনও পথচারীরা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সত্যতা স্বীকার করে বলছেন খুব শীঘ্রই অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে নুতন ব্রীজ নির্মান করা হবে। শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ডের গাড়িচালক সিরাজ মুন্সিও বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানাগেছে,শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোটাপাড়া নামকস্থানে কীর্তিনাশা নদীর উপরে নির্মিত প্রাচীনতম ও সরু ব্রীজটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন। ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছরে কীর্তিনাশা নদীর উপর ১১০ মিটার দৈর্ঘ্য এ ব্রীজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মান করে।এরপর শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হলে রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ কে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্রীজটি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।প্রাচীনতম এ ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা শরীয়তপুর এবং শরীয়তপুর ঢাকা গামী যানবাহন সহ হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। বর্তমানে ব্রীজের অবস্থা অত্যন্ত ঝ’কিপূর্ন ও নড়বড়ে। ভারী যানবাহন ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করলে ব্রীজটি দু’দিকে দুলতে থাকে। মনে হয় এই বুঝি ধসে পড়লো। জীবনের ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালকরা এ ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি পারাপার করছে। যেকোন সময় ব্রীজটি ধসে পড়ে বড়ধরনের দূর্ঘটনার কবলে পড়ে জানমালের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে এ ব্রীজটি ভেঙ্গে দিয়ে নুতন করে নির্মাণ করা অতীব জরুরী।এ দিকে একই সড়কে জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট নামক স্থানে একই অর্থ বছরে নির্মাণ করা কাজিরহাট মরাপদ্মার উপর নির্মিত কাজিরহাট ব্রীজটি সরু ও মারাত্মক ঝুকিপূর্ন। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন জীবনের ঝুকি নিয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছে।বিশেষ করে হাটবার দিন অর্থাৎ প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার হাটের দিন ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি পারাপার করা খুবই কষ্টকর। সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। ব্রীজের উপর দিয়ে পাশাপাশি দুটি গাড়ি পারাপার হতে পারে না। এ ছাড়া ঢাকা যাওয়ার কোন বিকল্প কোন রাস্তা নেই। তাই ব্রীজের দু’পাড়ে অপেক্ষা করতে হয় শত শত যানবাহন। এমনিভাবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত কষ্ট করে চলছে যানবাহন ও পথচারীরা। যেকোন সময় এ ব্রীজটিও ভেঙ্গে পড়ে জানমালের বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছে এলাকাবাসি। জরুরী ভিত্তিতে এ ব্রীজটি ও পুনঃ নির্মান করার দাবী জানিয়েছেন তারা। গাগড়িজোড়া এলাকার সামসুদ্দিন সরদার বলেন, কোটাপাড়া ব্রীজটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন। জরুরী ভিত্তিতে নুতন ব্রীজ নির্মান করা জরুরী। অন্যথায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। শরীয়তপুর বাস গাড়ি চালক মোঃ মিলন বলেন, কোটাপাড়া ও কাজিরহাট ব্রীজ দুটো অনেক ঝুকিপূর্ন। আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে গাড়ি নিয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে পারাপার হই। জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজ দুটো পুনঃনির্মান করা না হলে বড়ধরনের ক্ষতি হবে। শরীয়তপুর বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, কোটাপাড়া ও কাজিরহাট ব্রীজ দুটি অত্যন্ত প্রাচীন ও ঝুকিপূর্ন। ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালক ও সাধারন মানুষ চলাচল করছে।যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ব্রজি দুটি পুনঃ নির্মাণ করা দরকার। শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুর রহমান বলেন, এ ব্রীজ দুটি দীর্ঘদিন পূর্বে এলজিইডি নির্মান করেছিল। বর্তমানে ব্রীজ গুলো কিছুটা ঝুকিপূর্ন। পদ্মাসেতুর ফোর লেন রাস্তার প্রকল্পের সাথে এ ব্রীজ দুটি নির্মাণ কাজ অনুমোদন হয়েছে। অর্থ ছাড় পাওয়া গেলে ব্রীজদুটি নুতন করে নির্মানের কাজ শুরু করবো।