পটিয়ার কৃতি সন্তান,এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান,শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাঁশখালী এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট জাতীয় গ্রিডের সাথে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) যুক্ত হয়েছে। মূল উৎপাদনে যাওয়ার জন্য কমিশনিং শুরু হবে সোমবার থেকে। আর বিদ্যুতের মূল উৎপাদনে যাবে আগামী এপ্রিল মাসে। বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগরের কূলঘেঁষে স্থাপিত দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট আগামী এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে শনিবার বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনে যুক্ত করা হয়। সরকার গঠিত ব্যাক ফিড কমিটির নয়জন সদস্য শনিবার বাঁশখালী এসএস পাওয়ার প্লান্টে পৌঁছান। কমিটির প্রধান ও পাওয়ার প্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ তথা পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান সুইচ অন করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ ঘটান। এরপর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। পিজিসিবি’র প্রধান প্রকৌশলী মোরশেদ আলম খান বলেন, ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৭ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি তিন শতাংশের মধ্যে রয়েছে রাস্তা ও নালা তৈরির কাজ, যা দ্রুত শেষ হবে। এটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। নতুন এই প্রযুক্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে উঠছে। এই প্রকল্প বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিদেশী ব্যাংকের অর্থায়ন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে বড় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে এটাই প্রথম। বাংলাদেশের অন্যান্য কয়লা চালিত প্লান্টে বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে বেশি। এই কেন্দ্র উৎপাদনে গেলে প্রতিযোগিতা মূলক হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প।